হস্তশিল্পীরা বিশেষ স্বীকৃতি ও সুনাম পেতে পারেন। পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। ব্যয় কিঞ্চিৎ বাড়তে পারে। ... বিশদ
সেই মতোই এদিন লোকসভা উত্তাল করল বিরোধীরা। স্পিকার পদে বসার পরেই আচমকা ১৯৭৫ সালে ইন্দিরা গান্ধীর জারি করা ‘জরুরি অবস্থা’ প্রসঙ্গ পাঠ করতে শুরু করেন ওম বিড়লা। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদে সরব হয় কংগ্রেস, ডিএমকে, সমাজবাদী পার্টির মতো বিরোধী এমপিরা। আসন ছেড়ে উঠে ওয়েলের ধারে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদে সোচ্চার হন। প্রশ্ন তোলেন, স্পিকার নির্বাচনের মতো শুভদিনে এই প্রসঙ্গ কেন? যদিও কোনও কথায় কান না দিয়ে ওম বিড়লা পড়ে চলেন, ‘কংগ্রেসের তানাশাহি দেশকে সেসময় বরবাদ করে দিয়েছিল। ইন্দিরা গান্ধী বিরোধী নেতাদের জেলে পুরে দেশটাকে জেলখানা বানিয়ে দিয়েছিলেন।... ওটা ছিল অন্যায়কাল।’ পুরো পর্বে তৃণমূল লোকসভায় হাজির থাকলেও তারা প্রতিবাদে শামিল হয়নি।
বিরোধী দলনেতার আসনের উল্টোদিকে ট্রেজারি বেঞ্চ। মুখোমুখি বসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাশেই রাজনাথ সিং, অমিত শাহ। জরুরি অবস্থা নিয়ে প্রতিবাদ পর্বের আগে নতুন স্পিকারকে অভিনন্দন জানিয়ে ছিলেন রাহুল। তখনই তিনি বলেন, ‘সরকারের কাছে রাজনৈতিক ক্ষমতা আছে ঠিকই। কিন্তু বিরোধীদের কাছেও আছে জনগণের আওয়াজ। আর এবার যা অনেক বেশি শক্তিশালী।’ স্পিকারকে মাধ্যম বানিয়ে এনডিএ সরকারের উদ্দেশে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন কংগ্রেস সাংসদ, ‘বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করে অগণতান্ত্রিকভাবে হয়তো সভা চলতে পারে। কিন্তু এবারের নির্বাচন দেখিয়ে দিয়েছে যে, বিরোধীদের সংবিধান বাঁচানোর বক্তব্য শুনতেই হবে।’ রাহুলকে সমর্থন জানিয়ে একইভাবে তোপ দাগেন তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, ‘এবার আর বিরোধীদের দমিয়ে রাখার মনোভাব যেন না নেয় শাসকদল। কারণ, আমরা এবার অনেক শক্তিশালী। সরকার যেন সেটা মনে রাখে।’ স্পিকার ওম বিড়লাকেও সুদীপবাবু শুনিয়ে দেন, ‘আপনিও সরকারের কথায় ঝুঁকবেন না। যেভাবে গত লোকসভায় ১৫০ জন এমপিকে সাসপেন্ড করে বিল পাশ হয়েছে, তা যেন এবার না নয়। পর্যাপ্ত আলোচনা করেই বিল পাশ করতে হবে। বজায় রাখতে হবে দেশের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্রও।’ স্পিকারকে অভিনন্দন জানিয়ে তীর্যক মন্তব্য করেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবও। বলেন, ‘সভা পক্ষপাতহীনবাবে চলবে, এটাই আশা করি। সরকার যেন আপনার কথায় চলে। উল্টোটা না হয়!’ ডিএমকের টি আর বালুর খোঁচা, ‘বিড়লাজি আপনি পদ্ম প্রতীকে জিতে এসেছেন। তাই স্পিকার হয়ে পদ্মফুলের চরিত্র মনে রাখবেন, যা জলে জন্মায় কিন্তু পাতায় জলকে বসতে দেয় না।’