শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
কর্ণাটকের অন্যতম ‘এলিট’ কেন্দ্র দক্ষিণ বেঙ্গালুরু নিয়ে জল্পনা বেশ কয়েক দিন ধরেই চলছিল। নাম ঘোষণায় দেরি হওয়ায় অনেকে ধরেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হয়তো ওই কেন্দ্রে দাঁড়াতে পারেন। বারাণসীর পাশাপাশি দক্ষিণ বেঙ্গালুরু থেকেও দাঁড়াবেন মোদি। অবশ্য টিকিট পাবেন ধরে নিয়ে বেশ কয়েক দিন আগে থেকেই ডোর টু ডোর প্রচার শুরু করে দিয়েছিলেন অনন্ত কুমারের স্ত্রী তেজস্বিনী। তাঁর পাশে দাঁড়ান বিজেপির নেতা-কর্মীরা। ফেস্টুন, হোর্ডিং ইত্যাদি ছাপানো হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তেজস্বিনী বাদ পড়ায় হতবাক স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। অন্যদিকে, ২৮ বছরের যুবক তেজস্বী সূর্যকে প্রার্থী করে রীতিমতো চমকও দিলেন মোদি। বিজেপির ব্যাখ্যা, পেশায় আইনজীবী সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ তেজস্বী সূর্যকে প্রার্থী করে নবীন প্রজন্মের ভোট নিশ্চিত করলেন মোদি-অমিত শাহ।
দক্ষিণ বেঙ্গালুরু কেন্দ্রের ছ’বারের এমপি অনন্ত কুমার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে গত বছর মারা যান। তাঁর স্ত্রী এরোস্পেশ ইঞ্জিনিয়ার তেজস্বিনী কলেজ জীবনে এবিভিপির কর্মী থাকলেও বর্তমানে রাজনীতি থেকে দূরেই ছিলেন। সম্প্রতি শাশুড়ি প্রয়াত আরএসএস নেত্রী গিরিজা শাস্ত্রীর স্মরণে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তৈরি করে বিজেপির সংস্পর্শে এসেছিলেন। পাশাপাশি, অনন্ত কুমারের মতো একজন শীর্ষস্থানীয় নেতার স্ত্রী তেজস্বিনী টিকিট পাবেন ধরে নিয়েই এগতে শুরু করেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু তীরে এসে তরী ডুবে গেল। সকাল থেকেই তেজস্বিনীর বাড়ির বাইরে তাঁর সমর্থনে হাজির হন একাধিক বিজেপি কর্মী। ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। যদিও বিক্ষুব্ধ কর্মীদের শান্ত করতে তেজস্বিনী বলেন, আমরা সবাই বিজেপি কর্মী। দল যা নির্দেশ দেবে, তা মানতে আমরা বাধ্য। দল আগে, ব্যক্তি স্বার্থ পরে। এখন কংগ্রেসের রাজ্যসভার সদস্য বি কে হরিপ্রসাদের মতো ওজনদার প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়বেন তেজস্বী সূর্য। নাম ঘোষণার পর থেকে তাঁর ঘোর কাটছে না। ট্যুইটারে দলের প্রতি আনুগত্য, কৃতজ্ঞতা, আনন্দ মিশিয়ে লিখেছেন, ও মাই গড! ও মাই গড! আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী এবং বিশ্বের সবথেকে বড় দলের সভাপতি আমার মতো ২৮ বছরের যুবকের প্রতি আস্থা রাখায় আমি কৃতজ্ঞ। এটা শুধুমাত্র বিজেপিতেই সম্ভব। শুধুমাত্র নরেন্দ্র মোদির নয়া ভারতেই সম্ভব।