শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
গরিবি হটানোর লক্ষ্যে যেদিন ‘ন্যায়’ প্রকল্প ঘোষণা করেছি, সেদিন থেকেই টেনশনে রয়েছে বিজেপি। বদলে গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর চেহারা। বুঝে গিয়েছেন এবার হারছেন। যাওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে। মন্তব্য করেন রাহুল। নয়াদিল্লির ইন্দিরা গান্ধী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের অনগ্রসর শ্রেণি বিভাগের সম্মেলনে কংগ্রেস সভাপতি ঘোষণা করলেন, শুধু ন্যায় প্রকল্পই নয়। আরও আসছে। দলের ইস্তাহার প্রকাশ হলেই বোঝা যাবে।
ওবিসি, দলিত সহ সমাজের পিছিয়ে পড়া শ্রেণির মন জয় করতে রাহুল বলেন, ক্ষমতায় এলে ওবিসিদের ব্যবসার সুযোগ সহজ করে দেব। এখন একটি ব্যবসা শুরু করতে গেলে ওবিসিদের অনেকরকম লাইসেন্সের ঝক্কি পোহাতে হয়। আমরা ক্ষমতায় এলে সেসব থেকে মুক্তি। প্রথম তিন বছর কোনও কিছু লাগবে না। একইসঙ্গে বলেন, সম্প্রতি দুটি রাজ্যে কংগ্রেস ওবিসি মুখ্যমন্ত্রীকে ক্ষমতার কুর্সিতে বসিয়েছে। একইভাবে কেন্দ্রেও ক্ষমতায় এলে ওবিসি প্রতিনিধিত্ব বাড়াব।
অন্যদিকে, ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর নিজের কেন্দ্র বারাণসী সহ গোটা দেশের স্মার্ট সিটি প্রকল্প নিয়ে তথ্য জানার অধিকার আইনে পাওয়া সরকারি বয়ানকে হাতিয়ার করে মোদিকে চাপে ফেলার চেষ্টা করেছে কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র সুরজেওয়ালা বলেন, বারাণসীকেও বঞ্চিত করেছেন মোদিজি। স্মার্ট সিটি যেখানে ২২৬৭ কোটি দেওয়ার কথা, সেখানে গত চার বছরে দিয়েছেন মাত্র ১৯৬ কোটি টাকা। বারাণসীর মানুষকে তিনি ঠকিয়েছেন বলেও তোপ দাগেন সুরজেওয়ালা।
বলেন, গোটা দেশেও এই প্রকল্প নিয়ে যে প্রচার করেছেন, আরটিআইয়ের জবাবই প্রমাণ দিচ্ছে তা আসলে ভাঁওতা। পশ্চিমবঙ্গের চারটি শহর নিউটাউন, বিধাননগর, দুর্গাপুর এবং হলদিয়াকে স্মার্ট সিটি করার নামে গত চার বছরে মাত্র দু কোটি টাকা করে দিয়েছে মোদি সরকার। ১০০ স্মার্ট সিটি প্রকল্পের জন্য যেখানে ২ লক্ষ ৩ হাজার ১৭২ কোটি টাকা দেওয়ার কথা ছিল, সেখানে গত চার বছরে বরাদ্দ হয়েছে মাত্র ৭ শতাংশ। টাকার অঙ্কে যা ১৪ হাজার ৮৮২ কোটি টাকা।
মহাকাশে ভারতের সাফল্য নিয়ে আজ জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দূরদর্শনের পর্দায় ওই ভাষণের কিছুক্ষণ পরেই ছিল দলের সম্মেলন। সেখানে টিভিতে দেখা প্রধানমন্ত্রীর অভিব্যক্তি দেখেই সুযোগ বুঝে মোদির ওপর চাপ তৈরির চেষ্টা করেন রাহুল গান্ধী। বলেন, মোদিজিকে টিভিতে দেখলেন আপনারা? চেহারা বদলে গিয়েছে। দেশের ২০ শতাংশ অতি গরিব পরিবারকে বছরে ৭২ হাজার টাকা দেওয়ার ‘ন্যায়’ প্রকল্পের কথা যেদিন থেকে ঘোষণা করেছি, সেদিন থেকেই টেনশন শুরু হয়ে গিয়েছে বিজেপির। আজ মোদিজির চেহারাতেও তা স্পষ্ট। বুঝে গিয়েছেন এবার যাওয়ার সময় হয়েছে। কংগ্রেস আসছে। কিছুটা নরেন্দ্র মোদির নকল করে রাহুল এই মন্তব্য করতেই সম্মেলনে করতালির ঝড় বয়ে যায়।
রাহুল গান্ধীও সেই উদ্দীপনাকে আরও অক্সিজেন দিতে বলেন, ভোট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে, আপনারা ঝাঁপিয়ে পড়ুন। ন্যায় প্রকল্প নিয়ে প্রচার করুন। কংগ্রেসের ন্যায় মোদিজির অন্যায়কে হারাবেই। নোটবন্দি থেকে তাড়াহুড়ো করে শুরু করে জিএসটি, দাবি সত্ত্বেও কৃষি ঋণ মকুব না করা, কৃষক আত্মহত্যা, রাফাল যুদ্ধবিমান চুক্তিতে সরকারি সংস্থা হ্যালকে বরাত না দিয়ে অনিল আম্বানিকে দেওয়া, নীরব মোদি, মেহুল চোকসির ব্যাঙ্ক জালিয়াতিকে মদত দেওয়ার বিষয়গুলিকে নরেন্দ্র মোদির অন্যায় বলেই তকমা দেন রাহুল।