শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
সোমবার গভীর রাতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে খোঁচা দিয়ে একটি ফেসবুক পোস্ট করেন কানহাইয়া। গিরিরাজের নাম না করে ওই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘টিভি থেকে জানাতে পারলাম, কথায় কথায় যিনি সবাইকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেন, তিনি আসন্ন ভোটে লড়াই করতে বেগুসরাই আসতে চাইছেন না।’ পাশাপাশি, বিজেপি নেতৃত্ব যে ভারতের কথা বলেন, তা থেকে দেশের ব্যাপ্তি অনেক বেশি বলে মত তাঁর।
বিজেপি’র মতাদর্শকে ঠেস দিয়ে কানহাইয়া জানান, ‘আমার এক ভাইপো আছে। স্কুলের পড়া তৈরি না হলে স্কুলে যেতে চায় না। কিন্তু ও কখনই শিক্ষককে পাকিস্তানে পাঠানোর কথা ভাবে না। পাশাপাশি কাউকে ঘৃণা করতে বা স্কুল থেকে বহিষ্কার করতেও বলে না।’ জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের প্রাক্তন সভাপতির মতে, টিভি চ্যানেলে বিতর্কসভায় যে ভারতের ছবি তুলে ধরা হয়, প্রকৃত অবস্থা তার থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।
প্রসঙ্গত, ২০১৪’র লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদির সমালোচকদের কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন গিরিরাজ। তিনি বলেছিলেন, যাঁরা মোদির বিরোধিতা করবেন, তাঁদের পাকিস্তান চলে যাওয়া উচিত। সম্প্রতি আবারও এই ধরনের বিতর্কিত মন্তব্য করেন বিজেপি সাংসদ। ৩ মার্চ পাটনায় নরেন্দ্র মোদি সভা ছিল। তার আগে তিনি বলেছিলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বিরোধীতা করে যাঁরা ওই সভায় আসবেন না, তাঁরা সবাই দেশবিরোধী।’ যদিও শরীর খারাপের কারণ দেখিয়ে তিনি নিজেই ওই সভায় যোগ দেননি।
২০১৪-র লোকসভাতে বিহারের নওদা থেকে জয় লাভ করেন গিরিরাজ। কিন্তু এই আসনটি এবার এনডিএ’র শরিক রামবিলাস পাসোয়ানের এলজেপি-কে দিয়েছে বিজেপি। এর বদলে বাম দূর্গ বলে পরিচিত বেগুসরাই থেকে তাঁকে প্রার্থী করেছে দল। এই খবর পাওয়া মাত্র দিল্লিতে গিয়ে হত্যে দিয়ে পড়েছিলেন গিরিরাজ। কিন্তু তাতে কোনও লাভ না হওয়ায় রাজ্য নেতৃত্বকেই দুষছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘রাজ্যের নেতৃত্ব আমার সঙ্গে বেইমানি করল।’ তিনি আরও বলেন, ‘পাঁচ বছর ধরে আমি একটি কেন্দ্রে কাজ করলাম। কিন্তু হঠাত্ করে আমাকে সেই কেন্দ্র ছেড়ে দিতে বলা হচ্ছে। আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে এই সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া অত্যন্ত কঠিন।’
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের জন্য বাম ও বিজেপি তাদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। আরজেডি, কংগ্রেস সহ বিরোধীদলের মহাজোটকে এই কেন্দ্রে শক্তিশালী প্রার্থী দাঁড় করাতে হবে। অন্যথায় বাগুসরাইয়ে ভোটাররা কার্যত গিরিরাজ ও কানহাইয়ার দ্বিমুখী লড়াইয়ের সাক্ষী থাকতে চলেছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।