ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা। ... বিশদ
মাত্র তিনদিন আগেই নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভায় পাস হয়েছে ‘এক দেশ এক ভোট’ সংক্রান্ত প্রস্তাব। এ নিয়ে বিরোধী মহাজোট ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া হবে না। কেন্দ্রের সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে সংঘাত যখন তুঙ্গে, ঠিক তখনই দিল্লিতে বসতে চলেছে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। সেখানেও ‘এক দেশ এক ভোট’ সংক্রান্ত বিষয়টি উঠে আসতে পারে বলেই খবর। তার প্রেক্ষিতে যুক্তিসংগত তথ্যনির্ভর জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা। সোমবার ও মঙ্গলবার দু’দিন অল ইন্ডিয়া স্পিকার কনফারেন্স রয়েছে। দেশের প্রত্যেকটি রাজ্যের বিধানসভার স্পিকাররা থাকবেন আলোচনাচক্রে। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, উপাধ্যক্ষ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রধান সচিব সুকুমার রায় সহ বিধানসভার পাঁচজন প্রতিনিধি দিল্লি যাচ্ছেন। আলোচনা হবে আইন প্রণয়ন সংস্থাগুলির ভূমিকা ও উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ নিয়ে।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সচিবালয় সূত্রের খবর, বিধায়কদের উপর কেন্দ্রীয় এজেন্সির বাড়াবাড়ি নিয়ে অভিযোগ জানানো হবে। তাতে তথ্যসহ উল্লেখ থাকবে রাজ্যের এক বিধায়ক বিধানসভায় ছিলেন স্ট্যন্ডিং কমিটির বৈঠকে। তিনি সেই বৈঠকে থাকাকালীনই তাঁর বাড়িতে হানা দেয় কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এটা একেবারেই অনুচিত বলে মনে করছেন বিধানসভার আধিকারিকরা। তাতে আধিকারিকদের মত, তদন্তের জন্য কোনও বিধায়কের বাড়িতে কেন্দ্রীয় এজেন্সি যেতেই পারে। কিন্তু তার জন্য বিধায়ককে আগাম খবর দিয়েই যাওয়া উচিত। তাতে বিধায়ক তথা একজন জনপ্রতিনিধির অন্যান্য কাজ সেইমতো গুছিয়ে রাখতে পারবেন। কোনও বিধায়ককে গ্রেপ্তারের আগে কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে যেন তথ্য-প্রমাণ থাকে, সেটাও মনে করে বিধানসভার সচিবালয়। দিল্লিতে গিয়ে এটা বলা হবে, কোনও বিধায়ককে যেন সমাজজীবনে অকারণ অপদস্থ না করে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
আগামী সপ্তাহে দিল্লির আলোচনায় বিল সংক্রান্ত বিষয়টি জোরালোভাবে তুলে ধরতে চলেছেন বিধানসভার আধিকারিকরা। সচিবালয় সূত্রের খবর, দিল্লিতে আলোচনায় রাজ্য তুলে ধরবে রাজভবনের টালবাহানার প্রসঙ্গটি। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় একাধিক বিল পাস হয়েছে। কিন্তু তা রাজভবনে গিয়ে পড়ে আছে। সেগুলিতে রাজ্যপালের সম্মতি পাওয়া যাচ্ছে না। বিধায়করা জনস্বার্থে যেসব বিল পাস করলেন, সেগুলি কেন রাজভবন আটকে রাখবে, এই প্রশ্নটাই তোলা হবে। প্রসঙ্গত, দেশের রাজধানীর বুকে রাজ্য বলবে, ধর্ষণ বিরোধী ‘অপরাজিতা বিল’ পাস করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সেটি তো বাকি রাজ্যগুলির, এমনকী কেন্দ্রেরও অনুসরণ করা উচিত। রাজ্যের নাম ‘বাংলা’ করার প্রস্তাব অনেকদিন আগেই পাস হয়েছে বিধানসভায়। কিন্তু কেন তা আটকে রাখা হয়েছে, এবার সেই প্রশ্নটিও তোলা হবে দিল্লিতে।