ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা। ... বিশদ
এদিন বেলা ২টো নাগাদ বন্যা কবলিত আমতা ও উদয়নারায়ণপুর পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী পুলক রায়, বিধায়ক সুকান্ত পাল, সমীর পাঁজা, জেলাশাসক, জেলা পুলিসের সুপার সহ অন্যান্যরা। এদিন মুখ্যমন্ত্রী কুলটিকারি এলাকায় জলে নেমে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। দুর্গত এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী ঠিকমতো পৌঁছচ্ছে কি না, সেব্যাপারে খোঁজখবর নেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন দুপুরে প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বন্যা মোকাবিলায় আমতা ২ নম্বর ব্লকে বৈঠকও করেন।
বুধবার রাত থেকে দ্বীপাঞ্চলে জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েন বাসিন্দারা। একাধিক জায়গায় একতলা বাড়িতে ঢুকেছে বন্যার জল। বুধবার হুগলির চব্বিশপুরের বলাইচক গ্রামে নদী বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় আমতা ২ নম্বর ব্লকের ঝিকিরা, ঝামটিয়া, আমরাগড়ি, কাশমলি গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কিছু এলাকা নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। জলস্তর আরও বাড়লে থলিয়া, বিনোলা কৃষ্ণবাটী গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল বলেন, বিভিন্ন জায়গায় বন্যার জল বাড়ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্গত এলাকায় পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, এখনও পর্যন্ত ৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের দেড় লক্ষ মানুষ বন্যার কবলে পড়েছেন। ব্লকের ১৩টি ত্রাণ শিবিরে ২ হাজার ৩০০ জনকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
হাওড়া-হুগলি সীমান্তে খানাকুলের কাছে বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় উদয়নারায়ণপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। আমতা, উদয়নারায়ণপুর, ডিহিভুরশুটের রাস্তা জলমগ্ন হয়ে পড়ায় যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কার্যত বিছিন্ন হয়ে পড়েছে উদয়নারায়ণপুর। স্থানীয় বিধায়ক সমীর পাঁজা বলেন, এখনও পর্যন্ত উদয়নারায়ণপুরের ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১১২টি গ্রাম জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। এখনও পর্যন্ত ৯৬টি ত্রাণ শিবিরে ৯ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। বিধায়ক জানান, উদয়নারায়ণপুরে প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষ বন্যার কবলে পড়েছেন। প্রশাসন দুর্গত এলাকায় পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়েছে।