কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
এফ ই ব্লকের ওই দুটি প্লটের সামনের অংশে একটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তি রয়েছে। সেই জায়গায় নিয়মিতই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়। কিন্তু, তার পিছনে রবীন্দ্রভবন যেখানে তৈরি করা হচ্ছে, সেই অংশটি সম্পূর্ণ জঙ্গলে মুখ ঢেকেছে। প্রাথমিকভাবে ভিত তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। ফলে ভবনের ভিতের উপর একাধিক পিলারের রড বেরিয়ে রয়েছে। সেই রড ধরে ধরে আগাছায় গোটা এলাকা পুরো ঢেকে গিয়েছে। ভবন নির্মাণের কাজের জন্য আসা শ্রমিকদের থাকার জন্য সেখানে একাধিক ঘর করা হয়েছিল। সেই জায়গাগুলোও জঞ্জাল ও জঙ্গলে মুখ ঢেকে ফেলেছে। অনেক কর্মী একসঙ্গে থেকে কাজ করায়, তাঁদের জন্য অস্থায়ী জলের লাইনেরও ব্যবস্থা করা হয়েছিল এই জমির একাংশে। সেই জলের লাইন কতদিন ধরে খোলা রয়েছে, তা স্থানীয় দোকানদার বা কেউই নিশ্চিতভাবে বলতে পারছেন না। অথচ সেখান থেকে প্রত্যেকদিন জল পরে নষ্ট হচ্ছে। কোনও হুঁশ নেই পুরসভার।
একইভাবে কর্মীদের সুবিধার্থে প্রকল্প এলাকার মধ্যে দুটি জলের ট্যাঙ্ক করা হয়েছিল। সেখানে জল জমে মশার আঁতুড়ঘর তৈরি হয়েছে। শুধু তাই নয়, জল অপচয় হয়ে এলাকার প্লটের বহু অংশেই জল জমে রয়েছে গত কয়েক মাস ধরে। সে সম্পর্কেও পুরসভার কাছে এখনও কোনও খবর নেই। স্থানীয় এক বাসিন্দার অভিযোগ, এবিষয়ে কয়েকটি আগেই পুরসভাকে ফোন করে জানিয়েছিলাম। কিন্তু, কিছু কাজ হয়নি। অথচ পুরসভার কর্মীরা নিয়মিতই ওই জমির চারপাশে মশার তেল, ব্লিচিং ছড়িয়েছেন বলে বাসিন্দার দাবি। তাহলে প্রশ্ন উঠছে পুরকর্মীরা বিষয়টি দেখা সত্ত্বেও কেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে কোনও কিছু জানাননি। শুধু তাই নয় এই প্লট থেকে পুরসভারও দূরত্ব খুব বেশি নয়। বিধাননগর পুরভবনের (প্লট নং এফ ডি-৪১৫এ) পর কয়েকটি বহুতল রয়েছে। তারপরেই এই প্লটটি। মাঝে শুধুমাত্র ব্রডওয়ে। কার্যত পুরসভা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে নিজস্ব প্রকল্পের এহেন অবস্থা নিয়ে বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে। তাঁদের দাবি, এই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে সল্টলেকের এখানকার মানুষকে ভুগতে হলে, তার উত্তর কে দেবে? এবিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য প্রণয় রায় বলেন, তিনি বিষয়টি জানেন না। তবে অবশ্যই খোঁজখবর নিয়ে দেখবেন। প্রয়োজনে ওই প্লটকে দ্রুত পরিষ্কার করা সহ অন্যান্য পদক্ষেপও করা হবে।