কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
নির্ঝঞ্ঝাট যাতায়াতে পাতালপথের উপর যাত্রীদের ভরসা ক্রমেই বাড়ছে। বর্তমানে দৈনিক যাত্রীসংখ্যা সাত লক্ষ ছুঁই ছুঁই। তাতে অফিস টাইমে তো বটেই, গোটা দিনই ট্রেনে বেশ ভিড় দেখা যাচ্ছে। অনেক সময় এমনও হচ্ছে যে, ভিড়ের জেরে যাত্রীদের কোনও কোনও ট্রেন ছেড়েও দিতে হচ্ছে। যাত্রীসংখ্যা বৃদ্ধির এই প্রবণতা বজায় থাকলে, আগামী দিনে মেট্রোয় ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি একান্তই জরুরি হয়ে পড়বে বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের। সেদিক থেকে যাত্রীদের সুরক্ষা অটুট রেখে অল্প সময়ের ব্যবধানে ট্রেন চালানোর উপযোগী ব্যবস্থা রূপায়ণও জরুরি হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন যাত্রীদের অনেকেই।
মেট্রো রেল সূত্রের খবর, সিবিটিসি প্রকল্প রূপায়ণে রেল বোর্ডে নির্দিষ্ট প্রস্তাব পাঠিয়েছিল মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। মেট্রোর এক কর্তার বক্তব্য, বর্তমানে সর্বনিম্ন ছয় মিনিট ব্যবধানে ট্রেন চালানো হলেও, মেট্রোয় যে ব্যবস্থা চালু রয়েছে, তাতে আড়াই থেকে তিন মিনিট অন্তর ট্রেন চালানো যায়। নয়া ব্যবস্থা রূপায়িত হয়ে গেলে ৯০ সেকেন্ড ব্যবধানে ট্রেন চালানো সম্ভব হবে। কাজেই দরকার মতো আরও বেশি ট্রেন চালানো সম্ভব হবে পাতালপথে। রেল বোর্ড এই প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়ায় এবার কাজকর্ম শুরু হবে। শুরুতে প্রকল্পের জন্য পাঁচ কোটি টাকা বরাদ্দও করা হয়েছে।
অত্যাধুনিক সিগন্যালিং ব্যবস্থা রূপায়িত হয়ে গেলে সেই ব্যবস্থায় বর্তমান রেকগুলিকে চালানো যাবে তো? বিষয়টি নিয়ে মেট্রোর এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, রেক নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না। বর্তমান রেকগুলিকেই চালানো যাবে। রেকগুলির দুই প্রান্তের চালক ও সহকারী চালকের কেবিনে বিশেষ যন্ত্র বসাতে হবে। কিছু যন্ত্রপাতি বসাতে হবে লাইনের পাশেও। তাতেই মিটবে সমস্যা।
কিন্তু, আরও অল্প সময়ের ব্যবধানে ট্রেন চালাতে গেলে আরও রেক দরকার। রেকের ঘাটতি কীভাবে সামাল দেওয়া হবে? মেট্রো সূত্রের খবর, বর্তমানে মেট্রোয় ১৩টি নন-এসি রেক রয়েছে। রয়েছে আগের দফায় আসা ১৩টি এসি রেকও। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে কলকাতা মেট্রো রেল পেতে চলেছে ৪০টি অত্যাধুনিক এসি রেক। তার মধ্যে নতুন করে চেন্নাইয়ের ফ্যাক্টরি থেকে এসি রেক আসতে শুরু করেছে। আসতে শুরু করেছে চীনের রেকও। চেন্নাইয়ের ফ্যাক্টরি থেকে মোট ১৮টি রেক আনার কথা রয়েছে। চীন থেকে মোট ১৪টি এসি রেক আনা হবে। যদিও নন-এসি রেকগুলিকে পর্যায়ক্রমে তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষের।