কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের অনেক নাগরিকের নির্ধারিত সম্পত্তিকরের থেকে অনেক বেশি টাকা নানা কারণে পুর কোষাগারে জমা পড়ে রয়েছে। এর মধ্যে বেশ কিছু আটকে আইনি জটিলতার কারণে। মূলত, মিউনিসিপ্যাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল বা লোক আদালতে মামলা করে জয়ী হলে সেই টাকা ফেরত পাওয়া যায়। আবার অ্যাসেসমেন্ট ভুল দাবি করে কেউ চ্যালেঞ্জ করতেই পারেন। সেক্ষেত্রে অ্যানুয়াল ভ্যালুয়েশন নির্ণয়ের পর নতুন করে অ্যাসেসমেন্টে যদি দেখা যায় সম্পত্তিকর কম হয়েছে, তাহলে বাড়তি টাকা ফেরত পেতে পারেন। কিন্তু সেই টাকা পেতে গিয়ে মাঝেমধ্যেই চরম হয়রানির শিকার হন নাগরিকরা। পুর কমিশনার বলেন, অন্যায্যভাবে কারও টাকা আটকে রাখার ক্ষমতা পুর প্রশাসনের নেই। তাই নাগরিকরা যাতে তাঁদের প্রাপ্য টাকা সহজেই পান, তার জন্যই বেশ কয়েকটি নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এই টাকা ফেরত দেওয়ার ক্ষেত্রে আ্যসেসর কালেক্টরের ভূমিকা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। তাঁকে নির্দিষ্ট করে প্রস্তাব পাঠাতে হবে। সেই প্রস্তাবে সংশ্লিষ্ট জোনের রাজস্ব বিভাগের চিফ ম্যানেজারের অনুমোদন থাকতে হবে। অতীতে পুরসভায় রাজস্ব সংগ্রহের জন্য শহরকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। উত্তর, দক্ষিণ এবং সংযুক্ত এলাকা। তিনটি জোনের পৃথক পৃথক চিফ ম্যানেজার রয়েছেন। তাঁদের অনুমোদন থাকা আবশ্যিক। সেই অনুমোদনপ্রাপ্ত প্রস্তাবে টাকা ফেরতের কারণ, পুরো ঘটনাক্রমের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস সঙ্গে প্রয়োজনীয় নথিপত্র থাকতে হবে। কত টাকার বিল ছাড়া হয়েছিল, তার মধ্যে কত টাকার বিল বাতিল করা হয়েছে, বাতিল না করা অর্থের পরিমাণ কত, সেগুলি সহ যাবতীয় তথ্যাদি অ্যাসেসর কালেক্টরের সই সহ প্রস্তাব তৈরি করতে হবে। যে সম্পত্তির মালিকের টাকা ফেরত দেওয়া হবে, তাঁর একটি আবেদনপত্রও যুক্ত করতে হবে। তাতে সেই সম্পত্তির অ্যাসেসি নম্বর দেওয়া বাধ্যতামূলক। পেইড আপ রিসিপ্ট বাতিল করে, তাতে নির্দিষ্ট কারণ লিখে দিতে হবে অ্যাসেসর কালেক্টরকে। সম্পত্তিকরে ‘নো অবজেকশনে সার্টিফিকেট’ থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ট সম্পত্তিতে কোনও কর বাকি নেই, তা দেখেই সার্টিফিকেট ইস্যু করতে হবে। রাখতে হবে অ্যাসেসমেন্ট রোল, মিউনিসিপ্যাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল (ম্যাট) বা লোক আদালত অথবা উচ্চপদস্থ কর্তৃপক্ষের নির্দেশের কপিও। পুর কমিশনারের দপ্তরের এক কর্তা বলেন, ম্যাট বা লোক আদালতের নির্দেশের কপি এক্ষেত্রে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হবে। তবে কমিশনার তাঁর বিজ্ঞপ্তিতে এবার নতুন দু’টি বিষয়কে গুরুত্ব সহকারে উল্লেখ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, কারও যদি পেইড আপ রিসিপ্ট না থাকে, তাহলে ইনডেমনিটি বন্ড দেখাতে হবে। এই ইনডেমনিটি বন্ডই টাকা ফেরত পেতে অনেকটাই সাহায্য করবে। একইসঙ্গে শুরু থেকে করদাতার যে অ্যানুয়াল ভ্যালুয়েশন রাইট পরিবর্তন হয়েছে, সেটির ইন্সপেকশন বুকও অ্যাসেসর কালেক্টরকে অর্থ বিভাগে জমা দিতে হবে। রাজস্ব সংগ্রহ বিভাগের এক কর্তা বলেন, আগেও নিজেদের প্রাপ্য অর্থ ফেরত পেতেন নাগরিকরা। তবে কমিশনার যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন, তাতে পদ্ধতি অনেকটাই সহজ হয়ে গেল।