কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
শনিবার রাতে নিমতার পূর্ব অলিপুরে বাড়ির কাছেই একটি ঝোপে নলিকাটা মৃতদেহ উদ্ধার হয় কাঠমিস্ত্রি সঞ্জীব মণ্ডলের। স্বামীকে খুনের অভিযোগে ওই রাতেই পুলিস গ্রেপ্তার করে স্ত্রী অনিতা মণ্ডলকে। পুলিসের প্রথম থেকেই সন্দেহ ছিল মহিলা একা খুন করেনি। এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত রয়েছে। মহিলাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে টানা জেরা করেছে পুলিস। তাতেই উঠে এসেছে মৃতের ভাই বিশ্বজিৎ মণ্ডলের ভাইয়ের নাম বলে পুলিসের দাবি। রবিবার রাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডেকে নিয়ে আসা হয় বিশ্বজিৎকে। সোমবার সকালে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
পুলিসের দাবি, গত পাঁচ বছর ধরে বউদি-দেওরের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক চলছিল। সম্প্রতি সঞ্জীব তা জানতে পারে। এরপরেই খুনের ছক কষে বউদি ও দেওর। শনিবার বাজার থেকে মাংস আনার জন্য জোরাজুরি করেছিল অনিতা। স্বামীকে টাকা দিয়ে সে বাজারে পাঠায়। দুপুরে মাংসভাত খাওয়ার পর সন্ধ্যায় ভাই ও স্ত্রী খুন করে সঞ্জীবকে। প্রথমে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁসের পর গলায় ছুরি চালানো হয়। ছুরিটা চালিয়ে ছিল বিশ্বজিৎই। পরে দু’জনে মিলেই ঝোপের মধ্যে মৃতদেহ ফেলে দিয়ে আসে।
এদিকে, দাদাকে খুনের ঘটনায় ভাই গ্রেপ্তার হওয়ায় পূর্ব অলিপুরে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এদিন বিকেল তিনটে নাগাদ এলাকার বাসিন্দারা নিমতা থানায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। আধ ঘণ্টা বিক্ষোভের পর পুলিস হটিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীদের। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, মৃতের স্ত্রী যে বাড়িতে আয়ার কাজ করত, সেই বাড়ির মালিকের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। তাকে আড়াল করতেই পুলিস মিথ্যা গল্প সাজিয়ে মৃতের ভাইকে গ্রেপ্তার করল।
বড় ছেলের খুনের ঘটনায় ছোট ছেলে গ্রেপ্তার হওয়ায় ক্ষুব্ধ যোগমায়া মণ্ডল। তিনি বলেন, দুই ভাইয়ের সম্পর্ক ভাল ছিল। সঞ্জীবকে খুন করতে পারে না বিশ্বজিৎ। পুলিস কাউকে আড়াল করছে। এর পিছনে কিছু রহস্য রয়েছে। ছেলে খুনের ঘটনায় আমরা সঠিক তদন্ত চাই। নিমতা থানার পুলিস জানিয়েছে, গত এক মাস হল সঞ্জীবের মায়ের চোখ অপারেশন হয়েছে। হাসপাতাল থেকে ফিরে তিনি রবীন্দ্রনগরে ছোট মেয়ের কাছে থাকছিলেন। মায়ের অনুপস্থিতিতে খুনের ছক কষে বউদি-দেওর। জমির ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়েও দাদার সঙ্গে ভাইয়ের বিবাদ ছিল। এর সঙ্গে যোগ হয়েছিল বউদির সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক। বারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের ডিসি(জোন-২) আনন্দ রায় বলেন, কাঠমিস্ত্রি খুনে তাঁর ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতকে পুলিস হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হবে। ঘটনার তদন্ত চলছে।