পুজোয় হঠাৎ অতিথি সমাগম অথবা বিজয়ার মিষ্টিমুখ। বাড়ির তৈরি খাবারের কদর সর্বত্র। রেসিপি দিলেন 
মাটন ছাড়া আবার নবমীর ভোজ জমে নাকি? কক্ষনো না। তাই তো ঘরোয়া পদ্ধতিতে মাংস রান্নার কয়েক পদ রেসিপি আপনাদের জন্য সাজিয়ে দিলেন মণিকাঞ্চন দে।
শুরু হল রেস্তরাঁয় পুজো পার্বণ। পুজোয় কোথায় হবে ভুরিভোজ? কোথা থেকেই বা খাবার আনাবেন? জানতে হলে চোখ রাখুন শেরী ঘোষের প্রতিবেদনে।
পুজোয় দু’টি ভিন্ন স্টাইলের রেসিপি আপনাদের উপহার দিলেন জে ডব্লু ম্যারিয়টের এশিয়ান রেস্তরাঁ উইন্টাজ এশিয়ার শেফ অভিষেক গুহ।
পুজো এসে গেল। বাঙালির সেরা উৎসবের প্রস্তুতিতে মেতে উঠেছে কলকাতার বিখ্যাত হোটেল ও রেস্তরাঁ। আজ আইটিসি রয়্যাল বেঙ্গল হোটেলের শেফ প্রমোদ সিংহ জানালেন উৎসবের তোড়জোরের কথা। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী। সঙ্গে থাকছে শেফের তৈরি দু’টি ভিন্ন স্বাদের রেসিপি।
ভোগের খিচুড়ি : উপকরণ: গোবিন্দভোগ চাল ২৫০ গ্ৰাম, সোনামুগের ডাল ২০০ গ্রাম, গোটা জিরে, শুকনো লঙ্কা ও তেজপাতা ফোড়নের জন্য, আদাবাটা ২ চামচ, জিরে গুঁড়ো ২ চামচ, ধনে গুঁড়ো ১ চা চামচ, হলুদ গুঁড়ো ও লঙ্কা গুঁড়ো আন্দাজ মতো, নুন ও চিনি স্বাদ অনুযায়ী,
দুর্গোৎসব মানেই ভরপুর খাওয়াদাওয়ার আয়োজন। আর সেই আয়োজনে চাই নানারকম বাহারি মেনু। আমিষ ও নিরামিষের মনমাতানো মেনু নিয়ে প্রতি সপ্তাহে থাকবে বিভিন্ন রেসিপি। এবার সপ্তমীর মেনুতে মাছের নানা পদ সাজিয়ে দিলেন মণিকাঞ্চন দে।
পুজো মানেই নানারকম খাবার মেনু। নবমীতে মাটন হলে সপ্তমী জমে যাবে কন্টি স্টাইল ডিনারে। এবছর রেস্তরাঁ যেতে না চাইলে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন মেনুর বিভিন্ন রকম। রেসিপি তো হাতের কাছে পেয়েই গেলেন। দক্ষিণ কলকাতার ছোট্ট রেস্তরাঁ রেলিশ রুটের কর্ণধার শেফ জয়ন্ত বললেন বাঙালি চিরকালই খাবারে এক্সপেরিমেন্ট ভালোবাসে।
দুর্গোৎসব মানেই ভরপুর খাওয়াদাওয়ার আয়োজন। আর সেই আয়োজনে চাই নানারকম বাহারি মেনু। আমিষ ও নিরামিষের মনমাতানো মেনু নিয়ে প্রতি সপ্তাহে থাকবে বিভিন্ন রেসিপি। এবার ষষ্ঠীর নিরামিষ মেনু সাজিয়ে দিলেন মনীষা দত্ত।
বদমেজাজ ও কঠিন ব্যবহারে ঘরে-বাইরে অশান্তি ও শত্রুতা। পেট ও বুকের সংক্রমণে দেহসুখের অভাব। কর্মে ... বিশদ
পুজো পুজো ভাব বজায় রাখতে ফার্জি ক্যাফে থেকে দু’টি আমিষ পদ এবার বাড়িতেই বানিয়ে ফেলতে পারেন। রেসিপি দিলেন শেফ বৈভব সাবন্ত।
পুজো শেষ ঠিকই, কিন্তু বাঙালির উৎসবে ভাটা পড়েনি মোটেও। কালীপুজো কাটিয়ে ভাইফোঁটা পর্যন্ত চলবে এই উৎসবের আমেজ। তাই এখনও ভজনং যত্রতত্র বাঙালির ঘরে ঘরে চলছে। আর এই মুহূর্তে কলকাতার বিভিন্ন ক্যাফেই টিনএজার বা অল্পবয়সি চাকরিরতাদের হিট ডেস্টিনেশন। কাজের মাঝে ছোট্ট ব্রেক অথবা সান্ধ্যকালীন আড্ডা সেশন সবই জমে যায় এই ক্যাফেগুলোয়। আর সেই কারণেই ফার্জি ক্যাফেতে এখন দিনে দুপুরে, সন্ধ্যায় অথবা রাতেও চুটিয়ে আড্ডা আর খাওয়া পর্ব চলছেই। এই আড্ডা আর খাওয়াদাওয়ার আমেজ কি বাড়ি বসেই পেতে চান? তাহলেও চিন্তা নেই। অন্দরমহলের পাঠকদের জন্য ফার্জি ক্যাফের শেফ বৈভব সাবন্ত সাজিয়ে দিলেন দু’টি জনপ্রিয় রান্নার রেসিপি। সহজেই এই রান্নাগুলো করে ফেলতে পারেন বাড়িতে। শুধু উপকরণগুলো হাতের কাছে মজুত চাই। এবার উৎসবের আনন্দ দ্বিগুণ করতে বাড়িতেই নিয়ে আসুন ক্যাফের আমেজ। বানিয়ে ফেলুন সহজে সুস্বাদু দু’টি রান্না।
মালাই ললিপপ
উপকরণ: চিকেন লেগ পিস ১২০ গ্রাম, ফ্রেশ ক্রিম ২০ মিলি, কাঁচা লঙ্কা ৪-৫টা, ধনেপাতা কুচি ১ চামচ, বিট নুন ৩-৪ গ্রাম, জিরে গুঁড়ো ৪-৫ গ্রাম, জল ঝরানো টক দই ৫০ গ্রাম, আদা ৫ গ্রাম, রসুন ৫ গ্রাম, লঙ্কা গুঁড়ো ২-৩ গ্রাম, চাট মশলা ৩-৪ গ্রাম, গোলমরিচ গুঁড়ো ৩-৪ গ্রাম, ব্রেড ক্রাম্ব ৩-৪ গ্রাম।
পদ্ধতি: আদা ও রসুন একসঙ্গে বেটে নিন। এবার এই মিশ্রণ চিকেনে মাখিয়ে নিন। অল্প নুন চিকেনে মাখিয়ে রেখে দিন। জল ঝরানো টক দই নিন। তাতে ফ্রেশ ক্রিম, কাঁচালঙ্কা কুচি, ও অন্যান্য মশলা মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ দিয়ে চিকেন লেগ পিসগুলো ম্যারিনেট করে নিন। ম্যারিনেট করে আধ ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর তন্দুর আভেন গরম করে নিন। তারপর গ্রিল ট্রে গ্রিজ করে নিয়ে তাতে চিকেন লেগগুলো দিয়ে বেক করুন। ইতিমধ্যে একটা পাত্রে গাখন গলিয়ে নিন। তাতে কিছুটা ক্রিম ফেটিয়ে ঢেলে দিন। ক্রমাগত নাড়তে থাকবেন। তার সঙ্গে কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো, চাট মশলার গুঁড়ো এবং ধনেপাতা কুচি মিশিয়ে নেড়ে নিন। এবার তন্দুর আভেন থেকে চিকেন বার করে নিন। একটা প্লেটে সাজিয়ে ওপর থেকে এই মালাই ঢেলে দিন। এক কিউব মাখন ওপরে সাজিয়ে গরম পরিবেশন করুন।
রাওয়া কাসুন্দি ফিশ
উপকরণ: ভেটকি মাছের ফিলে ৪০ গ্রাম, আদা রসুন বাটা ১০-১৫ গ্রাম, কাসুন্দি ৪০ গ্রাম, নুন স্বাদ মতো, কর্নফ্লাওয়ার ৪ গ্রাম, পোস্ত বা রাওয়া ১০ গ্রাম, তেল ৪ মিলি, মাখন ১০ মিলি, গোটা সর্ষে ২-৩টে, মৌরি ২ গ্রাম, মেথি দানা ২ গ্রাম, হলুদ গুঁড়ো ৩ গ্রাম, লঙ্কা গুঁড়ো ৪ গ্রাম, জিরে গুঁড়ো ৪ গ্রাম, ধনে গুঁড়ো ২ গ্রাম, গরমমশলা গুঁড়ো ৩ গ্রাম, ধনেপাতা ৩০ গ্রাম, ফ্রেশ ক্রিম ১৫ মিলি।
পদ্ধতি: মাছের ফিলেগুলোকে আদা-রসুন বাটা, নুন, কাসুন্দি দিয়ে ম্যারিনেট করে রেখে দিন আধ ঘণ্টা। এবার এই মাছ কর্নফ্লাওয়ারে কোট করে তা পোস্তয় ফেলে এপিঠ ওপিঠ কোট করে নিন। ননস্টিক প্যানে তেল গরম করে মাছগুলো ভেজে নিন। ইতিমধ্যে কাসুন্দি আর ধনেপাতা একসঙ্গে নিয়ে বেটে নিন। একটা কড়াইতে তেল ও মাখন একসঙ্গে গরম করে নিন। তাতে গোটা মশলাগুলো ফোড়ন দিন। তারপর ধনেপাতা ও কাসুন্দির বাটা মিশ্রণ দিয়ে নাড়ুন। অল্প নুন মেশান। বাকি সব মশলা দিয়ে একটু জল দিয়ে গ্রেভি ফুটিয়ে নিন। ফুটে উঠলে ওপর থেকে ফেটানো ক্রিম ছড়িয়ে নামিয়ে নিন। ভাজা মাছে এই গ্রেভি ঢেলে পরিবেশন করুন।
পুজো শেষ ঠিকই, কিন্তু বাঙালির উৎসবে ভাটা পড়েনি মোটেও। কালীপুজো কাটিয়ে ভাইফোঁটা পর্যন্ত চলবে এই উৎসবের আমেজ। তাই এখনও ভজনং যত্রতত্র বাঙালির ঘরে ঘরে চলছে। আর এই মুহূর্তে কলকাতার বিভিন্ন ক্যাফেই টিনএজার বা অল্পবয়সি চাকরিরতাদের হিট ডেস্টিনেশন। কাজের মাঝে ছোট্ট ব্রেক অথবা সান্ধ্যকালীন আড্ডা সেশন সবই জমে যায় এই ক্যাফেগুলোয়। আর সেই কারণেই ফার্জি ক্যাফেতে এখন দিনে দুপুরে, সন্ধ্যায় অথবা রাতেও চুটিয়ে আড্ডা আর খাওয়া পর্ব চলছেই। এই আড্ডা আর খাওয়াদাওয়ার আমেজ কি বাড়ি বসেই পেতে চান? তাহলেও চিন্তা নেই। অন্দরমহলের পাঠকদের জন্য ফার্জি ক্যাফের শেফ বৈভব সাবন্ত সাজিয়ে দিলেন দু’টি জনপ্রিয় রান্নার রেসিপি। সহজেই এই রান্নাগুলো করে ফেলতে পারেন বাড়িতে। শুধু উপকরণগুলো হাতের কাছে মজুত চাই। এবার উৎসবের আনন্দ দ্বিগুণ করতে বাড়িতেই নিয়ে আসুন ক্যাফের আমেজ। বানিয়ে ফেলুন সহজে সুস্বাদু দু’টি রান্না।
মালাই ললিপপ
উপকরণ: চিকেন লেগ পিস ১২০ গ্রাম, ফ্রেশ ক্রিম ২০ মিলি, কাঁচা লঙ্কা ৪-৫টা, ধনেপাতা কুচি ১ চামচ, বিট নুন ৩-৪ গ্রাম, জিরে গুঁড়ো ৪-৫ গ্রাম, জল ঝরানো টক দই ৫০ গ্রাম, আদা ৫ গ্রাম, রসুন ৫ গ্রাম, লঙ্কা গুঁড়ো ২-৩ গ্রাম, চাট মশলা ৩-৪ গ্রাম, গোলমরিচ গুঁড়ো ৩-৪ গ্রাম, ব্রেড ক্রাম্ব ৩-৪ গ্রাম।
পদ্ধতি: আদা ও রসুন একসঙ্গে বেটে নিন। এবার এই মিশ্রণ চিকেনে মাখিয়ে নিন। অল্প নুন চিকেনে মাখিয়ে রেখে দিন। জল ঝরানো টক দই নিন। তাতে ফ্রেশ ক্রিম, কাঁচালঙ্কা কুচি, ও অন্যান্য মশলা মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ দিয়ে চিকেন লেগ পিসগুলো ম্যারিনেট করে নিন। ম্যারিনেট করে আধ ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর তন্দুর আভেন গরম করে নিন। তারপর গ্রিল ট্রে গ্রিজ করে নিয়ে তাতে চিকেন লেগগুলো দিয়ে বেক করুন। ইতিমধ্যে একটা পাত্রে গাখন গলিয়ে নিন। তাতে কিছুটা ক্রিম ফেটিয়ে ঢেলে দিন। ক্রমাগত নাড়তে থাকবেন। তার সঙ্গে কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো, চাট মশলার গুঁড়ো এবং ধনেপাতা কুচি মিশিয়ে নেড়ে নিন। এবার তন্দুর আভেন থেকে চিকেন বার করে নিন। একটা প্লেটে সাজিয়ে ওপর থেকে এই মালাই ঢেলে দিন। এক কিউব মাখন ওপরে সাজিয়ে গরম পরিবেশন করুন।
রাওয়া কাসুন্দি ফিশ
উপকরণ: ভেটকি মাছের ফিলে ৪০ গ্রাম, আদা রসুন বাটা ১০-১৫ গ্রাম, কাসুন্দি ৪০ গ্রাম, নুন স্বাদ মতো, কর্নফ্লাওয়ার ৪ গ্রাম, পোস্ত বা রাওয়া ১০ গ্রাম, তেল ৪ মিলি, মাখন ১০ মিলি, গোটা সর্ষে ২-৩টে, মৌরি ২ গ্রাম, মেথি দানা ২ গ্রাম, হলুদ গুঁড়ো ৩ গ্রাম, লঙ্কা গুঁড়ো ৪ গ্রাম, জিরে গুঁড়ো ৪ গ্রাম, ধনে গুঁড়ো ২ গ্রাম, গরমমশলা গুঁড়ো ৩ গ্রাম, ধনেপাতা ৩০ গ্রাম, ফ্রেশ ক্রিম ১৫ মিলি।
পদ্ধতি: মাছের ফিলেগুলোকে আদা-রসুন বাটা, নুন, কাসুন্দি দিয়ে ম্যারিনেট করে রেখে দিন আধ ঘণ্টা। এবার এই মাছ কর্নফ্লাওয়ারে কোট করে তা পোস্তয় ফেলে এপিঠ ওপিঠ কোট করে নিন। ননস্টিক প্যানে তেল গরম করে মাছগুলো ভেজে নিন। ইতিমধ্যে কাসুন্দি আর ধনেপাতা একসঙ্গে নিয়ে বেটে নিন। একটা কড়াইতে তেল ও মাখন একসঙ্গে গরম করে নিন। তাতে গোটা মশলাগুলো ফোড়ন দিন। তারপর ধনেপাতা ও কাসুন্দির বাটা মিশ্রণ দিয়ে নাড়ুন। অল্প নুন মেশান। বাকি সব মশলা দিয়ে একটু জল দিয়ে গ্রেভি ফুটিয়ে নিন। ফুটে উঠলে ওপর থেকে ফেটানো ক্রিম ছড়িয়ে নামিয়ে নিন। ভাজা মাছে এই গ্রেভি ঢেলে পরিবেশন করুন।
