ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বাধায় চিন্তা ও উদ্বেগ। বেকারদের ভালো প্রতিষ্ঠানে কর্মপ্রাপ্তির প্রবল যোগ। ... বিশদ
গত ৩ অক্টোবর পর্যটন সংক্রান্ত সমস্ত সংস্থাকে নিয়ে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব তথা পর্যটন সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী একটি বৈঠক করেন। সেখানে রিভার ট্যুরিজম নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়। তবে এই কারণে নদীর দূষণ কোনওভাবেই বরদাস্ত না করার বিষয়টিও উঠে আসে বৈঠকে। তাই এই পর্যটনের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত থাকবেন, তাঁদের আগেভাগেই এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে বলে ঠিক হয়েছে। রাজ্যের এক পদস্থ কর্তার কথায়, ‘এমন যেন না হয় যে পর্যটক ক্রুজে বসে খাবার খেয়ে কাগজের প্লেটটা নদীর জলেই ফেলে দিলেন। নদীপাড়ে শৌচালয়, পানীয় জলের ব্যবস্থা সহ যেসব পরিকাঠামো তৈরি হবে, সেখানে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উপর বাড়তি গুরুত্ব দিতে হবে। সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করে এসব এলাকায় আলোর ব্যবস্থা করার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে।
বড় ক্রুজ নয়, ছোট ছোট ক্রুজই হবে এই রিভার ট্যুরিজমের মূল আকর্ষণ। শুধু দেশ-বিদেশ থেকে আসা ভ্রমণার্থী নয়, স্থানীয় পর্যটকদের কাছেও এই ক্রুজ পরিষেবা আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা। প্রসঙ্গত, লন্ডনের টেমস নদীতেও এই ধরনের ক্রুজ চালু রয়েছে। হুগলি নদীতেও একই ধরনের পরিষেবা চালু করতে উদ্যোগী পর্যটন দপ্তর। ওই বৈঠকে ‘মাইস ট্যুরিজম’, অর্থাৎ কলকাতা এবং রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টার, ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহ, বিশ্ব বাংলা মেলা প্রাঙ্গণের মতো জায়গাগুলিতে আন্তর্জাতিক স্তরের সভা-সমাবেশ সুনিশ্চিত করা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এই ‘মাইস ট্যুরিজম’-এর হাত ধরেো রাজ্যের পর্যটন শিল্প উপকৃত হবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহিল।