ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বাধায় চিন্তা ও উদ্বেগ। বেকারদের ভালো প্রতিষ্ঠানে কর্মপ্রাপ্তির প্রবল যোগ। ... বিশদ
পাটশিল্পকে রক্ষা করতে কেন্দ্রীয় আইনে বলা হয়েছে, দানাশস্য প্যাকেটজাত করতে ১০০ শতাংশ এবং চিনিতে ২০ শতাংশ ক্ষেত্রে চটের বস্তা ব্যবহার বাধ্যতমূলক। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, কেন্দ্র, রাজ্য এবং রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি মিলিয়ে গোটা দেশ থেকে চটের বস্তার বরাত আসে জুট কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার (জেসিআই) কাছে। চটকলগুলির উৎপাদন ক্ষমতার উপর ভিত্তি করে সেই বরাত তাদের ভাগ করে দেয় জেসিআই। কিন্তু এবার সেই পথ থেকে সরে আসতে চলেছে কেন্দ্র, এমনই অভিযোগ ছিল। সরকার নয়া নিয়ম আনে, মোট বরাতের ১০ শতাংশ কেনা হবে গভর্মেন্ট ই-মার্কেটপ্লেস বা ‘জেম’ পোর্টালের মাধ্যমে। সেখানে পাটের বস্তার জন্য নিলাম করা হবে। এই সিদ্ধান্তের বিষয়টি গড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত।
টিইউসিসির আওতাধীন ওয়েস্ট বেঙ্গল পার্মানেন্ট জুট ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি শিবপ্রসাদ তেওয়ারি বলেন, আজ সরকার ১০ শতাংশ বরাত জেম পোর্টালের মাধ্যমে দিলেও তা পরে বাড়াবে না, এই গ্যারান্টি নেই। তাছাড়া জেম-এর মাধ্যমে চটের বস্তার বরাত কেন্দ্রীয় আইন বিরোধী। সাম্প্রতিককালে দেশে ছোট ছোট প্রায় ৬০টি চটকল গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে ৮০ শতাংশই উত্তরবঙ্গে। রাজ্য শ্রমদপ্তরের রিপোর্ট বলছে, এখানে ২৩টি চটকল সম্পূর্ণভাবে এবং ১৬টি মিল আংশিকভাবে মজুরি সংক্রান্ত চুক্তি লঙ্ঘন করছে। যেখানে শ্রমিক সংক্রান্ত খরচ কম, তাদের নিলামে কম দর দিলে, অন্যায্যভাবে মার খাবে আইন মেনে চলা চটকলগুলি। এই বিষয়ে রিট পিটিশন দাখিল হয় আদালতে। সেখানে আগামী শুনানি না-হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে গত ১ অক্টোবর। এই সিদ্ধান্তের পর কেন্দ্রীয় সরকারও পুরনো নিয়মেই পাটের বস্তা কেনার সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ১ অক্টোবর এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে।