নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: প্রতিটি জেলায় একটি করে শপিং মল করার জন্য জমি দেবে রাজ্য সরকার। শুক্রবার এই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বিশ্ব বাংলা মেলা প্রাঙ্গণে আয়োজিত বেঙ্গল শপিং ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধনে সশরীরে হাজির হননি তিনি। তবে ফোনে বার্তা দেন, প্রতিটি জেলায় এক একর করে জমি দেবে সরকার। সেই জমিতে মল তৈরি করতে পারবে বেসরকারি সংস্থা। শপিং মলের দু’টি তলা সরকারকে দিতে হবে। সেখানে স্টল করে পণ্য বিক্রি করবে স্বনির্ভর গোষ্ঠী। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বন্য ও বর্ষার কারণে ব্যবসার ক্ষতি হয়েছে অনেকটাই। অথচ এইসময় ব্যবসা করেই সারাবছর সংসার চালান অনেকে। সেই কারণেই এই ধরনের ফেস্টিভ্যাল জরুরি। এমন উৎসব যাতে প্রতি বছর করা হয়, তার নির্দেশ দেন তিনি। এদিনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী তথা অর্থদপ্তরের প্রধান মুখ্য উপদেষ্টা অমিত মিত্র বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা জিডিপির ৬০ শতাংশ দখল করে থাকে সাধারণ মানুষের কেনাকাটা। তাই ক্রেতারাই অর্থনীতিতে শেষ কথা বলেন। পাশাপাশি এরাজ্যে কর্মসংস্থানের মূল কাণ্ডারী যে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প, তা মনে করিয়ে দেন তিনি। বলেন, বাংলায় কর্মমুখী মানুষের সংখ্যা ৩ কোটি ৬২ লক্ষ। এখানে ৯০ লক্ষ এমএসএমই আছে। ৬৫০টি ক্লাস্টার বা শিল্পতালুক আছে। এই সেক্টরে কর্মসংস্থান হয়েছে ১ কোটি ৩৬ লক্ষ মানুষের। ১২ লক্ষ ১০ হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে বাংলায়, সেগুলির
সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ১ কোটি ২০ লক্ষ মহিলা।
মহিলা কর্মীরা যে এরাজ্যে নিরাপদ, এদিন সেই দাবি করেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, এখানে তাঁরা ২৪ ঘণ্টা কাজ করতে পারেন। এখানে শুধুমাত্র মহিলা পরিচালিত উদ্যোগই রয়েছে ২৯ লক্ষ। শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজার দাবি, রাজ্যের উন্নয়নমূলক কাজের জন্য যে বাজেট বরাদ্দ হয়, তার ৪৪ শতাংশ রাখা হয় মহিলাদের জন্য। এখানে ১৬ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর বার্ষিক রোজগার ১ লক্ষ টাকার বেশি। আরও ২২ লক্ষ গোষ্ঠী ওই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে। উদ্যোক্তাদের তরফে সিডাবলুবিটিএ’র সভাপতি সুশীল পোদ্দার বলেন, এই ফেস্টিভ্যাল থেকে রাজ্যে বহু কারিগর আর্থিকভাবে উপকৃত হবেন। - নিজস্ব চিত্র