ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা। ... বিশদ
ক্রিসিলের দাবি, ভারতের সুতো ব্যবসার প্রভাব সবচেয়ে বেশি রয়েছে। তার কারণ, এখানকার উৎপাদিত সুতোর ৮ থেকে ১০ শতাংশ যায় বাংলাদেশে। যতক্ষণ না অন্য দেশে সুতো রপ্তানি করতে পারবে ভারত, ততক্ষণ ব্যবসা মার খাবে। অন্যদিকে ভোগ্যপণ্য, জুতো বা ব্যাগের মতো ব্যবসা মার খাওয়ার মূল কারণ, ভারতীয় শিল্প সংস্থাগুলি তাদের উৎপাদন ইউনিট চালু রেখেছে বাংলাদেশে। সেখানকার বাজার কমতে থাকায়, তার প্রভাব ভারতীয় সংস্থাগুলিতে পড়ছে। সেখানে উৎপাদন প্রক্রিয়াতেও প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতিতে। অন্যদিকে, ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থা এবং নির্মাণ সংস্থাগুলি বর্তমানে ভালো পরিস্থিতিতে নেই বাংলাদেশে। ভারতীয় বিদ্যুৎ সংস্থা সেই সংস্থাগুলিকে বিদ্যুতের জাগান দেয়। তাই তার প্রভাব রয়েছে। বিদ্যুতের বিল আদায় করাও কঠিন হতে পারে, এমনটাই মনে করছে ক্রিসিল। এছাড়া, বাংলাদেশের রপ্তানির একটা বড় অংশ দখল করে থাকে রেডিমেড পোশাক এবং পাটজাত দ্রব্য। এক্ষেত্রে তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ চীন এবং ভিয়েতনাম। যেহেতু বাংলাদেশের রপ্তানি এখন মার খাচ্ছে, তাই সেই বাজার ধরার সুযোগ রয়েছে ভারতের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারত এই পরিস্থিতিতে বড় রকমের সুবিধা করতে না-পারলেও, কিছুটা লাভবান হবে এখানকার জামাকাপড় এবং পাটজাত দ্রব্য রপ্তানিকারক সংস্থাগুলি।
ক্রিসিলের দাবি, গত অর্থবর্ষে ভারতের মোট রপ্তানির ২.৫ শতাংশ দখল করে রেখেছিল বাংলাদেশ। অন্যদিকে, মোট আমদানির মাত্র ০.৩ শতাংশ এসেছিল প্রতিবেশী দেশটি থেকে। যেহেতু দুই ক্ষেত্রেই ব্যবসার পরিমাণ অনেকটাই কম, তাই সার্বিক প্রভাব খুব বেশি নয়, মত ক্রেডিট রেটিং সংস্থাটির।