কর্ম নিয়ে স্থানান্তর গমনে সাফল্যের যোগ। কর্মে স্থানগত বা সংস্থাগত পরিবর্তন অসম্ভব নয়। পারিবারিক ক্ষেত্রে ... বিশদ
জাম্প কাট ২০২৪। চারমিনারের শহরে রবি, মনোতোষ, চাকু মাণ্ডিদের হাত ধরে বাংলা ফুটবলের সূর্যোদয়। স্বপ্নের সওদাগর কোচ সঞ্জয় সেন। আইএফএ অফিসে সন্তোষ ট্রফির সঙ্গে সেল্ফি তুলছেন অনুরাগীরা। সেদিনের ব্যর্থতা বদলে গিয়েছে সাফল্যের আলোয়। ফুটবলের মক্কা ফের স্বমহিমায়।
অনেকেই প্রশ্ন করছেন কোথায় লুকিয়ে সাফল্যের রসায়ন? ব্যক্তিগত মত, ফারাক গড়ে দিয়েছে টিম স্পিরিট। সলতে পাকানো শুরু হয় কোচেস কমিটির মিটিংয়ে। বিরোধিতা ছিলই। কিন্তু আমাদের মানসিকতা ‘পুষ্পা ঝুঁকেগা নেহি।’ সঞ্জয় সেনকে কোচ নিয়োগের সিদ্ধান্ত কতটা সঠিক তা পারফরম্যান্সেই প্রমাণিত। যদিও আমি নিশ্চিত, সাফল্য না এলে রে-রে করে কোমর বেঁধে মাঠে নামতেন অনেকেই। বিভেদ তৈরির চেষ্টাও তো কম হয়নি। কখনও দত্ত ভার্সেস দত্ত, কখনও সভাপতি অজিত ব্যানার্জির সঙ্গে দূরত্ব তৈরির প্রয়াস। অথচ বিশ্বাস করুন, প্রশাসনিক কাজকর্মে অজিতবাবুই আমার মেন্টর। বাংলা ফুটবলের স্বার্থে এই অপচেষ্টা বন্ধ হোক। গঠনমূলক সমালোচনা অবশ্যই কাম্য। পাশাপাশি বিনীত অনুরোধ, সচিবের মার্কশিটেও নজর দিন। কেরলকে হারিয়ে জাতীয় গেমসে চ্যাম্পিয়ন বাংলা। সন্তোষ ট্রফিতেও তাই। বি সি রায় ট্রফিও শোভা পাচ্ছে আইএফএ অফিসে।
সাফল্য যাবতীয় অন্ধকার ঢেকে দেয়। নতুন বছরে দ্রুত আইএফএ’র অ্যাকাডেমি গড়ার দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি একসময় ধুঁকতে থাকা আইএফএ’কে আর্থিকভাবে সাবলম্বী করাই লক্ষ্য। মুখ্যমন্ত্রী ও ক্রীড়ামন্ত্রীর শুভেচ্ছা নিয়ে এগিয়ে চলতে চায় বঙ্গ ফুটবল সংস্থা। গোটা স্কোয়াডকে চাকরি দেওয়ার সিদ্ধান্ত শুনে চোখে জল এসেছিল। ফুটবল প্রশাসক হিসেবে এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কী-ই বা হতে পারে?
লেখক আইএফএ সচিব