কর্ম নিয়ে স্থানান্তর গমনে সাফল্যের যোগ। কর্মে স্থানগত বা সংস্থাগত পরিবর্তন অসম্ভব নয়। পারিবারিক ক্ষেত্রে ... বিশদ
দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে এই ভারতীয় দল ঘুরে দাঁড়াতে জানে। ২০২০ সালে ডনের দেশেই ৩৬ রানের অল-আউটের ক্ষত বুকে নিয়ে সিরিজ জিতেছিলেন রাহানেরা। তাই বুমরাহদের উপর আস্থা রাখা যেতেই পারে। দিনের শেষ লগ্নে পাল্টা লড়াইয়ের ইঙ্গিত পাওয়া গেল ভারতীয় শিবির থেকে। খাওয়াজাকে (২) আউট করে ‘অকালপক্ক’ কনস্টাসের দিকে তেড়ে যান ক্যাপ্টেন বুমরাহ। এতটা আগ্রাসী তাঁকে খুব কমই দেখা গিয়েছে অতীতে। আসলে তাঁকে চটিয়ে দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার এই বখাটে ছোকরাই। কথায় আছে, বাঁশের চেয়ে কঞ্চি দড়। কনস্টাস ঠিক তাই। মেলবোর্নে কোহলির সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন। আর এদিন সিডনিতে ক্রমাগত উত্তপ্ত করছিলেন বুমরাহকে। তবে দিনের শেষে তিনি নিশ্চিয়ই বুঝে গিয়েছেন, বুমবুমকে ক্ষ্যাপালে কী ভয়ঙ্কর দুর্গতি না হতে পারে! যেমন তাঁর সঙ্গে গরমাগরম বাক্য বিনিময়ের পরেই ভারতীয় পেসারের বিষাক্ত ডেলিভারিতে ড্রেসিং রুমের পথ ধরলেন খাওয়াজা। অস্ট্রেলিয়ার রান ১ উইকেটে ৯।
শুক্রবার সকালে বুমরাহ টস করতে নামার সঙ্গেই স্পষ্ট হয়ে যায়, রোহিত খেলছেন না। ১৬ জনের দলেও নাম ছিল না তাঁর। পিচের ঘাস এবং ওভারকাস্ট কন্ডিশন দেখেও ব্যাটিংয়ের ঝুঁকি নিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন বুমরাহ। তাঁর পরিকল্পনায় জল ঢেলে প্রথম থেকেই স্টার্ক, বোল্যান্ডরা গতি ও সুইংয়ে বিপর্যস্ত করেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের। একে একে ফেরেন লোকেশ রাহুল (৪), যশস্বী জয়সওয়াল (১০)। চাপের মুখে দল তাকিয়ে ছিল গিল-কোহলির যুগলবন্দির আশায়। কিন্তু তা দিবাস্বপ্নই থেকেছে। নাথান লিয়ঁর বলে স্টেপআউট করে খেলতে গিয়ে স্লিপে স্মিথের হাতে ধরা পড়েন গিল (২০)। কোহলি ভাগ্যবান গোল্ডেন ডাক হতে হতে বেঁচে যান। স্লিপে অনবদ্য ক্যাচ ধরেছিলেন স্মিথ। কিন্তু রিভিউতে দেখা যায় বলটি মাটিতে স্পর্শ করেছে। জীবন পেয়ে ধীরে ধীরে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন ভিকে। কিন্তু বোল্যান্ডের ফিফ্থ স্টাম্প ডেলিভারিতে খোঁচা দিয়ে স্লিপে ওয়েবস্টারের হাতে ধরা পড়েন বিরাট (১৭)। লাঞ্চের পর কোহলির প্রস্থান প্রবল চাপে ফেলে দেয় ভারতকে।
আচমকা পন্থের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয় বাঁ হাতি জাদেজাকে। এই ফর্মুলা কিছুটা সফলও বলা যেতে পারে। রানের বিচারে সবচেয়ে সফল জুটি (৪৮) এটাই। গত ম্যাচে ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন ঋষভ। এদিন তাই শুরুতে সাবধানে খেলছিলেন। শরীরের অনেক আঘাত সয়েও রুখে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত চালিয়ে খেলার বদভ্যাসেই বোল্যান্ডের বলে ৪০ রানে আউট হন পন্থ। এই সফরের উদীয়নমান তারকা নীতীশ রেড্ডি হতাশ করলেন প্রথম বলেই আউট হয়ে। আড়াই ঘণ্টা ক্রিজে থেকে ২৬ রানে লেগ বিফোর হন জাড্ডু। স্কোর তখন ১৩৪-৭। প্রথম সারির প্রায় সব ব্যাটসম্যানই ফিরে গিয়েছেন ড্রেসিং রুমে। দেড়শোও তখন মনে হচ্ছে দূরের স্টেশন। সহজাত ব্যাটিংয়ে তিনটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে খানিক চাপ কমানোর চেষ্টা করেন সুন্দর। কিন্তু ১৪ রানে কটবিহাইন্ড হন তিনি। তবে রিভিউতে স্পষ্ট দেখা যায়, বল তাঁর গ্লাভসে লাগেনি। এরপর ব্যাট হাতে মূল্যবান ২২ রান করেন বুমরাহ। অধিনায়কের লড়াই যদি সতীর্থদের উজ্জীবিত করে, তাহলে সিডনি টেস্টে অনেক রোমাঞ্চ বাকি আছে বলা যেতেই পারে।