ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বাধায় চিন্তা ও উদ্বেগ। বেকারদের ভালো প্রতিষ্ঠানে কর্মপ্রাপ্তির প্রবল যোগ। ... বিশদ
অনুশীলন শেষে ইস্ট বেঙ্গল অধিনায়ক ক্লেটনের গলাতেও সেই আত্মবিশ্বাসের সুর, ‘কর্তারা আমাদের উপর যে আস্থা রাখছেন, তা অবশ্যই ইতিবাচক দিক। ডার্বির লড়াই সবসময় আলাদা। এই ম্যাচের গুরুত্ব সকলেই জানে। জানি, লিগের শুরুটা ভালো হয়নি। তবে একটি জয় গোটা পরিস্থিতি বদলে দিতে পারে। আর প্রত্যাবর্তনের জন্য ডার্বির চেয়ে ভালো মঞ্চ আর কিছু হতে পারে না।’
বৃহস্পতিবারই ভারতে আসার ভিসা হাতে পেয়েছেন কোচ অস্কার ব্রুজোঁ। ফলে ডার্বির সকালে কলকাতায় পা রাখতে পারেন তিনি। তবে শহরে এসেই মহারণের ডাগ-আউটে তিনি থাকবেন কিনা, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। ক্লাবের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার অবশ্য আশা ছাড়ছেন না। তিনি বলেন, ‘কোচকে বেঞ্চে রাখার চেষ্টা করছি।’ একইসঙ্গে ফুটবলারদের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘ইমামি কর্তারা ফুটবলারদের সঙ্গে কথা বলতে এসেছিলেন। বড় ম্যাচে আগে ছেলেদের উজ্জীবিত করাই ছিল আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।’
বৃহস্পতিবার ক্লাবের মাঠে প্রায় ঘণ্টা দেড়েকের প্রস্তুতি সারলেন তালালরা। এদিন দলের সঙ্গে যোগ দেন মহেশ। তবে তাঁর শনিবার খেলার সম্ভাবনা কম। রাকিপ, নিশু কুমাররা পুরোদমে অনুশীলন করলেন। বৃহস্পতিবার ম্যাচ অনুশীলনে ৪-৩-৩ ফর্মেশনেই প্রস্তুতি সারেন বিনো। সবকিছু ঠিক থাকলে, আপফ্রন্টে ক্লেটনের সঙ্গে দুই উইংয়ে শুরু করবেন নন্দ আর বিষ্ণু। একটু পিছন থেকে মাঝমাঠে দায়িত্ব সামলাবেন তালাল। জোড়া ডিফেন্সিভ ব্লকার সাউল ও শৌভিক। রক্ষণে আনোয়ারের সঙ্গে শুরু করবেন হেক্টর ইউস্তে। জাতীয় শিবির থেকে বুধবার রাতে শহরে ফিরলেও বৃহস্পতিবার অনুশীলন করেননি হিজাজি। ফলে ডার্বিতে বেঞ্চেই বসতে হবে তাঁকে। আর দুই উইং-ব্যাক পজিশনে রাকিব আর প্রভাত লাকরা। তবে একইসঙ্গে তৈরি রাখা হচ্ছে ডেভিডকে। প্রয়োজনে ছক বদলে ৪-৪-২ ফর্মেশনের পথেও হাঁটতে পারেন বিনো। হাতে-কলমে দায়িত্ব না নিলেও নিয়মিত দলের খোঁজ খবর রাখছেন অস্কার। বৃহস্পতিবার ভিডিও কলে ফুটবলারদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।