ছোট ও মাঝারি ব্যবসার প্রসার ও বিক্রয় বৃদ্ধি। অর্থাগম ক্রমশ বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা। ... বিশদ
শনিবার প্রথম একাদশে তিনটি বদল করে স্ট্র্যাটেজি পরিবর্তন করেছিলেন কোচ মোলিনা। ৩-৪-২-১ এর বদলে ৪-৪-২ ফর্মেশনে জোড়া স্ট্রাইকার কামিংস ও পেত্রাতোসকে খেলান স্প্যানিশ কোচ। দ্রুত লক্ষ্যভেদ করে ম্যাচের দখল নেওয়াই লক্ষ্য ছিল। উল্টে সুনীলদের আক্রমণের চাপে শুরু থেকেই নড়বড়ে মোহন বাগান। ডিফেন্সিভ ব্লকার অভিষেক সূর্যবংশীর হাঁটু কাঁপল। তার ফায়দা তুলতে ভুল করেনি বেঙ্গালুরু। নবম মিনিটে মোলিনা ব্রিগেডের রক্ষণ চিচিং-ফাঁক করলেন এডগার মেন্ডেজ। নোগুয়েরার কর্নার নিখিল হেড করে নামিয়ে দেন তাঁর কাছে। পিছনে থাকা দীপ্যেন্দুকে শরীরের আড়ালে ঢেকে জাল কাঁপান মেন্ডেজ (১-০)। ১১ মিনিট পর বেঙ্গালুরুর ব্যবধান বাড়ানোর গোলটির ক্ষেত্রেও মেন্ডেজের অবদান। বল হোল্ড করলেন। মাঝমাঠ থেকে প্রায় ১৫ গজের স্প্রিন্ট টেনে এগিয়ে গেলেন সুরেশ। তাঁর গোলার মতো শট আছড়ে পড়ে জালে (২-০)। তখন আশেপাশেই নেই সূর্যবংশী। প্রথমার্ধের বাকি সময় মোহন বাগানকে নিয়ে প্রায় ছেলেখেলা করলেন সুনীল, নোগুয়েরারা। পাসিং ফুটবল সামলাতে জিভ বেরিয়ে গেল আপুইয়া, স্টুয়ার্টদের।
বিরতির পর আক্রমণের চাপ বাড়াতে অভিষেকের বদলে সাহাল আব্দুল সামাদকে মাঠে নামান স্প্যানিশ হেডস্যার। লাভ কিছুই হয়নি। ৫০ মিনিটে মেন্ডেজকে বক্সের মধ্যে অহেতুক ফাউল করেন দীপ্যেন্দু। সঙ্গত পেনাল্টি পায় বেঙ্গালুরু। স্পটকিক থেকে সফল লক্ষ্যভেদ সুনীলের (৩-০)। তরুণ বঙ্গসন্তান আগের ম্যাচে নজর কাড়েন। কিন্তু প্রশংসায় গ্যাসবেলুন ফুলে গেলে মুশকিল। ওঁর মনে রাখা উচিত গড়ের মাঠ কঠিন ঠাঁই। পারফর্ম না করলে হারিয়ে যেতে হবে। এরপর হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন সাহাল। তাঁর পরিবর্তে লিস্টনকে নামান মোলিনা। অন্যদিকে, অফকালার দীপ্যেন্দুর বদলে অনিরুদ্ধ থাপার প্রবেশ। কিন্তু বেঙ্গালুরুর গতিতে সব ছারখার। গতি, পাসিং, ফিটনেস সবেতেই চোখে সর্ষেফুল দেখালেন সুনীলরা। তিন গোলে পিছিয়ে থাকা হোসে মোলিনা এবার ম্যাকলারেনের স্মরণ নিলেন। ৬৬ মিনিটে মাঠে নামেন অজি বিশ্বকাপার। দাগ কাটতে ব্যর্থ। কামিংস, ম্যাকলারেন, স্টুয়ার্ট-অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট। বরং শেষ মুহূর্তে শিবাশক্তি মিস না করলে লজ্জা আরও বাড়ত মোহন বাগানের। তিনদিন বাদেই এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ-টু’র ম্যাচ। প্রবল প্রতিপক্ষ ইরানের ট্রাক্টর এফসি। তার আগে চাপের প্রেসার কুকারে মোলিনা-ব্রিগেড।
মোহন বাগান দল: বিশাল, শুভাশিস, দীপ্যেন্দু (অনিরুদ্ধ), টম, আশিস, স্টুয়ার্ট, অভিষেক (সাহাল, লিস্টন), আপুইয়া, মনবীর, দিমিত্রি (ম্যাকলারেন) এবং কামিংস (সুহেল)।
(মেন্ডেজ, সুরেশ ও সুনীল)