নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: দীর্ঘ আট ঘণ্টা ধরে ম্যারাথন তল্লাশির পর মঙ্গলবার গভীর রাতে তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বাড়ি ও বিড়ি কারখানার অফিস থেকে বেরিয়ে যান তদন্তকারী অফিসাররা। তদন্ত শেষে অফিসাররা বেরিয়ে যেতেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উপর ক্ষোভপ্রকাশ করেন তৃণমূল বিধায়ক। তিনি বলেন, ‘আমি আইন মেনেই ব্যবসা করি। ৩০ হাজার শ্রমিকের রুজি রোজগারের ব্যাপার রয়েছে। তদন্ত যত কম হয় তত সবার জন্যই ভালো। এইভাবে হেনস্তা না করে নোটিস দিয়ে ডাকা হোক। তবে অফিসারদের ধন্যবাদ দেব, তাদের কাজ তারা করেছেন। আশা করি তারা ভালো রিপোর্ট দেবেন। এতগুলো মানুষের রুটি রুজির ব্যাপার। এইভাবে হানা দিয়ে মানুষকে আতঙ্কিত না করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নোটিস দিয়ে ডাকলে ভালো হয়।’ গতকাল, মঙ্গলবার বিকেলে জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের সূতির ওরঙ্গাবাদের বাড়ি ও বিড়ি কারখানায় হানা দেয় ইনকাম ট্যাক্স ও সেন্ট্রাল জিএসটির আধিকারিকরা। বেশ কয়েকটি গাড়িতে করে আধিকারিকরা এসেছিলেন। তাঁরা বাড়িতে ঢোকার আগেই কেন্দ্রীয় বাহিনী গোটা বাড়ি ও কারখানা ঘিরে ফেলে। তবে এই প্রথম নয়, ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসেও আয়কর দপ্তর জাকিরের বাড়িতে হানা দিয়েছিল। সেবার বাড়ি থেকে বেশকিছু টাকা উদ্ধার করলেও পরবর্তীতে জাকির সাহেব আইনি পদ্ধতিতে তা মোকাবিলা করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেশ কয়েকটি গাড়ি নিয়ে বিকেল ৫টা নাগাদ তৃণমূলের বিধায়কের বাড়িতে ঢোকেন অফিসাররা। গোটা অফিস ঘিরে ফেলেন সিআইএসএফ জওয়ানরা। শুরু হয় তল্লাশি। গভীর রাত পর্যন্ত চলে সেই তল্লাশি প্রক্রিয়া। এই বিষয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপিকে। দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে হেনস্তা করা ও ভয় দেখানোর জন্যই এইসব করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। যদিও তাতে কোনও লাভ হবে না বলেই জানিয়েছে ঘাসফুল শিবির।