শাস্ত্র অধ্যয়নে গতি বৃদ্ধি ও পরীক্ষায় শুভ ফল লাভের সম্ভাবনা। নতুন কর্মপ্রাপ্তি হতে পারে। দাম্পত্যে ... বিশদ
বাড়ি বাড়ি নলবাহিত পানীয় জল পৌঁছে দিতে ২০১৬ সালে অম্রুত ওয়ান প্রকল্প শুরু হয় বন্দর শহরে। ওই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ হয় ৮০ কোটি টাকা। পুরসভার দাবি, মিউনিসিপ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট (এমইডি) এবং ঠিকাদারের দীর্ঘসূত্রিতার কারণে অম্রুতের প্রথম দফার কাজে ঢিলেমি হয়েছে। ফলে পুরো টাকা এখনও খরচ হয়নি। অভিযোগ, ওই প্রকল্পের কাজ আট বছর পর এখনও শেষ হয়নি। প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ না হওয়ায় শুধু বাসিন্দারা নয়, খোদ পুর কর্তৃপক্ষ বিপাকে পড়েছে। রাজ্য পুর দপ্তর হলদিয়ায় দ্বিতীয় পর্যায়ের জল প্রকল্পের নির্মাণের জন্য বরাদ্দ করতে পারছে না। পুর কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, জানুয়ারির গোড়ায় অম্রুত ওয়ানের ৫ কোটি টাকা পড়েছিল। তবে গত দেড়মাসে পরিস্থিতি অনেকটা পাল্টেছে। একাধিক স্কিমের মাধ্যমে সেই টাকা খরচ হওয়া শুরু হয়েছে। এই মুহূর্তে পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের রায়রাঞ্যাচক, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের পীতাম্বরচকে অম্রুত ওয়ান প্রকল্পের কাজ চলছে জোরকদমে। কয়েকটি ওয়ার্ডে ওই প্রকল্পের জন্য আন্ডারগ্রাউন্ড জলাধার তৈরি হচ্ছে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, পুর এলাকায় বাড়ি বাড়ি নলবাহিত পানীয় জল সরবরাহের জন্য মোট ২৯টি ওয়ার্ডকে ২৪টি ওয়াটার জোনে ভাগ করা হয়েছে। এজন্য ২৪টি রিজার্ভার তৈরি করতে হচ্ছে। অম্রুত ওয়ান প্রকল্পে ইতিমধ্যেই ৯টি রিজার্ভার তৈরি হয়েছে। আগে থেকে একটি রিজার্ভার ছিল। সব মিলিয়ে অম্রুত ওয়ান পুরোদমে চালু হলে ১০টি রিজার্ভার কাজ করবে। ১৫ থেকে ২৯ নম্বর ওয়ার্ড পর্যন্ত ১৫টি ওয়ার্ডে অম্রুত ওয়ানের কাজ শুরু হয়েছিল আট বছর আগে। কিন্তু ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের কারণে ১৫, ১৬, ১৭ এবং ১৮ নম্বর ওই চারটি ওয়ার্ডের প্রায় ৬০-৭০ শতাংশ এলাকায় অম্রুতের লাইন পাতা যায়নি। ওই ওয়ার্ডগুলি অম্রুত টু প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। কিন্তু ওই গ্রামীণ ওয়ার্ডগুলিতে অম্রুতের অপেক্ষায় না থেকে ডিপ টিউবওয়েল এবং সাবমার্সিবল বসিয়ে ইতিমধ্যেই জল পৌঁছে দিয়েছে পুর কর্তৃপক্ষ। মূলত ভোটের কথা মাথায় রেখেই একাজ করেছে পুর কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, অম্রুত ওয়ান প্রকল্পে তৈরি হওয়া ৯টি রিজার্ভারের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৫টি চালু হয়েছে। আগামী মার্চের মধ্যে বাকি চারটি চালু করতে মরিয়া পুরসভা। এগুলি তৈরির পর দীর্ঘদিন পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ। পুর প্রশাসক সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায় বলেন, অম্রুত প্রকল্পটি এজেন্সির মাধ্যমে দেখভাল করছে মিউনিসিপ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট। ওদের চাপ দেওয়ার পর এখন কাজে গতি এসেছে। চিফ ইঞ্জিনিয়ার নিজে কাজ দেখছেন। মঙ্গলবারই একাজের জন্য ঠিকাদারদের পেমেন্ট করেছে পুরসভা। হলদিয়ার হাতিবেড়িয়ায় জোরকদমে চলছে অম্রুত প্রকল্পের রিজার্ভার তৈরির কাজ।-নিজস্ব চিত্র