শাস্ত্র অধ্যয়নে গতি বৃদ্ধি ও পরীক্ষায় শুভ ফল লাভের সম্ভাবনা। নতুন কর্মপ্রাপ্তি হতে পারে। দাম্পত্যে ... বিশদ
বিষ্ণুপুর শহরের শাঁখারিবাজারে বাড়ি জয় নন্দীর। পেশায় টোটো চালক। তাঁর অভিযোগ, ‘আমার ভোটার কার্ড থাকা সত্ত্বেও তালিকায় নাম ছিল না। লোকসভা ভোট দিতে পারিনি। নতুন করে তৈরির আবেদন করেছিলাম। সম্প্রতি পোষ্ট অফিসের মাধ্যমে বাড়িতে নতুন কার্ড আসে। কিন্তু, খাম খুলতেই ভোটার কার্ডে দেখি অন্যের ছবি। আমি তো দেখে অবাক। তবে, নাম-ঠিকানা ঠিকই রয়েছে।’ স্বাভাবিকভাবেই নতুন ভোটার কার্ড হাতে পাওয়ার আনন্দ মুহূর্তেই চুপসে যায়। রাগত স্বরে তিনি বলছিলেন, ‘কার্ডের ছবিটি দেখতে দেখতে মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়ি। মনে করার চেষ্টা করি, কবে আমি এত বড় গোঁফের অধিকারী ছিলাম! কিন্তু কিছুতেই মনে আর করতে পারছিলাম না। আসলে, আমি তো কোনওদিন অন্যের নজরে পড়ার মতো গোঁফই রাখিনি!’ এরপর, পাসপোর্ট সাইজ ছবিটি নিখুঁত পর্যবেক্ষণ করে জয়বাবু নিশ্চিত হন, ছবিটি কোনওভাবেই তাঁর নয়। ফলে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনেও তিনি ভোট দিতে পারবেন কি না, তা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন। নির্বাচন কমিশনের কর্মীদের দায়িত্ব জ্ঞানহীনতাকে এক হাত নিয়ে জয়বাবু বলেন, ‘ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে এই কার্ড নিয়ে গেলে আমাকে ফিরিয়ে দেবেন প্রিসাইডিং অফিসার। ফের আবেদন করলেও সময়ে ভোটার কার্ড পাব কি না, তা নিয়েও দুঃশ্চিন্তায় রয়েছি।’
এর আগেও জয়বাবু বেশ দুঃশ্চিন্তায় ছিলেন। কমিশনের কর্মীদের ভুলে লোকসভায় গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। ভোটার কার্ড হাতে নিয়ে বুথে গিয়েছিলেন। ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই আক্ষেপ থেকে সংশোধন করার কাজে ঝাঁপিয়েছিলেন। জয়বাবু বলছিলেন, ‘সম্প্রতি আমাদের স্থানীয় বিদ্যালয়ে শিবির করা হয়েছিল। সেখানে সংশোধনী ফর্ম ফিলাপ করে জমা দিয়েছিলাম। ফর্মের সঙ্গে আমার নিজের পাসপোর্ট ছবিও দিয়েছিলাম। কিন্তু এবারও ভুল। আমি খেটে খাওয়া মানুষ। সারাদিন টোটো চালিয়ে সংসার চালাই। একদিন রাস্তায় টোটো বের না করলে বাড়িতে হাঁড়ি চড়বে না।’
বিষ্ণুপুর মহকুমার নির্বাচন দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, ‘বিধানসভা ভোটের এখনও দেরি রয়েছে। জয়বাবু নতুন করে ছবি সংশোধন করার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এছাড়াও উনি মহকুমা শাসকের অফিসের নীচের তলায় দপ্তরে এসেও যোগাযোগ করতে পারেন। তিন থেকে চারমাসের মধ্যে সংশোধিত কার্ড হাতে পেয়ে যাবেন।’ • জয় নন্দী। নিজস্ব চিত্র