শাস্ত্র অধ্যয়নে গতি বৃদ্ধি ও পরীক্ষায় শুভ ফল লাভের সম্ভাবনা। নতুন কর্মপ্রাপ্তি হতে পারে। দাম্পত্যে ... বিশদ
অভিভাবকদের অভিযোগ, ছাত্রছাত্রীরা সময়ে বিদ্যালয়ে পৌঁছলেও শিক্ষকদের দেখা পাওয়া যায় না। ফলে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ ও আশপাশে ছাত্রছাত্রীরা ঘুরে বেড়ায়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে আসার জন্য বহুবার বলা হলেও তাঁরা কথায় আমল দেননি। উল্টে উপরমহলে চেনা জানা আছে জানিয়ে অভিভাবকদের প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে বলে বাসিন্দারা এদিন দাবি করেন। শিক্ষকরা দেরিতে বিদ্যালয়ে আসার কথা স্বীকার করলেও হুঁশিয়ারি দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ভজহরি চট্টোপাধ্যায়, মন্দিরা বাগদি বলেন, প্রধান শিক্ষক স্থানীয় বাসিন্দা হলেও বর্তমানে বাঁকুড়া শহরে থাকেন। প্রধান শিক্ষকের পাশাপাশি এক সহকারী শিক্ষক বিদ্যালয়ে রয়েছেন। দু’জনেই এক-দেড় ঘণ্টা দেরিতে বিদ্যালয়ে আসেন। তাড়াতাড়ি ছুটি দিয়ে বাড়ি চলে যান। স্কুলের পড়াশোনা লাটে উঠেছে। অর্ধেক ছাত্রছাত্রী স্কুলে আসছে না। মিড ডে মিলের হিসেবও আমাদের কোনওদিন দেখানো হয় না। কিছু বলতে গেলেই প্রধান শিক্ষক দেখে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন। উপরমহলে লোক আছে জানিয়ে, আমরা কিছু করতে পারব না বলেও তিনি হুঁশিয়ারি দেন। এমনকী, দুই শিক্ষক কার্যত ‘রোটেশনে’ ডিউটি করেন। একজন করে বিদ্যালয়ে হাজির হন। অপরজন বাড়িতে থাকেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, সাড়ে ১০টায় স্কুল খোলে। আমি স্কুলে পৌঁছই ১১টা নাগাদ। আমার বাড়িতে কিছু সমস্যা রয়েছে। আমার গাড়িটিও খারাপ। সেই কারণে সমস্যা হয়। নির্দিষ্ট সময়ে আমরা স্কুলে আসার চেষ্টা করব। তবে রোটেশনে ডিউটি করা বা হুঁশিয়ারি দেওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়। আমি ও সহ শিক্ষক একসঙ্গেই কাজ করি। তবে ছুটি থাকলে অন্য কথা। তখন তো বিদ্যালয় এমনিতেই বন্ধ থাকে। -নিজস্ব চিত্র