শাস্ত্র অধ্যয়নে গতি বৃদ্ধি ও পরীক্ষায় শুভ ফল লাভের সম্ভাবনা। নতুন কর্মপ্রাপ্তি হতে পারে। দাম্পত্যে ... বিশদ
জেলাশাসক সুনীল আগরওয়াল এদিন বলেন, আইসিডিএস কেন্দ্রগুলোতে পরিদর্শন চলছে। আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় বাড়তি নজরদারি চালানো হচ্ছে। আইসিডিএস কেন্দ্রের অ্যাপ্রোচ রোড, বিদ্যুৎ সংযোগ, খাবার তৈরির উপকরণ, পানীয় জল, ভবন ঠিক আছে কিনা দেখা হচ্ছে। ব্লক প্রশাসন ও স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতিগুলোকে নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঝাড়গ্রাম আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা। রাজ্যে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর জেলার সামগ্ৰিক পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দেওয়া হয়েছে। ঝাড়গ্রামের আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার উন্নয়নে সাড়ে ৯ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। আদিবাসী ছেলেমেয়েদের স্কুলমুখী করতে নানা পদক্ষেপ করা হয়েছে। যার সুফলও মিলতে শুরু করেছে। আইসিডিএস কেন্দ্র থেকে গ্ৰামীণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সর্বত্র আদিবাসী ছেলেমেয়েদের সংখ্যা বাড়ছে। জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, বাল্য বিবাহের হার গত কয়েক বছরে অনেকটাই কমছে। তবে প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে এখনও বেশ কিছু আইসিডিএস কেন্দ্রের নিজস্ব ভবন নেই। কিছু কেন্দ্রে বিদ্যুৎ ও জল সরবরাহের অভাব রয়েছে। খাবার মান নিয়েও রয়েছে অভিযোগ। জেলাশাসক বিষয়টি খতিয়ে দেখতে নিজেই বিভিন্ন আইসিডিএস কেন্দ্রগুলোতে পরিদর্শন চালাচ্ছেন। অভাব অভিযোগ সামনে এলেই সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করা হচ্ছে। গোপীবল্লভপর-১ ব্লকের কেন্দুগাড়ি গ্ৰাম পঞ্চায়েতের রেহেরাঘুটু গ্ৰামের বাসিন্দা স্বর্ণলতা মুর্মু বলেন, আগে গ্ৰামের ছেলেমেয়েদের মাটির রাস্তা দিয়ে স্কুলে যেতে হতো। বর্ষার সময় খুব কষ্ট হতো। ঢালাইয়ের রাস্তা হওয়ায় সেই সমস্যা মিটেছে। গ্ৰামের আইসিডিএস কেন্দ্রে ছোট ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করে। তবে শিক্ষকরা ঠিকমতো আসে না। পড়াশোনা ঠিকমতো হয় না। প্রশাসন নজর দিলে এই সমস্যা থাকে না। বিনপুর-২ ব্লকের সিমুলপাল গ্ৰাম পঞ্চায়েত এলাকার ডাকাই আইসিডিএস কেন্দ্রে কোনও শিক্ষক-শিক্ষিকা নেই। ছোট ২০ জন ছেলেমেয়ের খাবার ব্যবস্থা অবশ্য করা হয়। কাঁকড়িঝর্না আইসিডিএস কেন্দ্রে শিক্ষিকারা আবার নিয়মিত আসেন না। যা নিয়ে বাবা-মায়েদের অভিযোগ রয়েছে। পঞ্চায়েতের উপপ্রধান লক্ষ্মীকান্ত মানকি বলেন, দু’টি কেন্দ্রে চল্লিশ জন আদিবাসী ছেলেমেয়ে পড়াশোনা করে। পঠনপাঠন না হওয়ায় তারা কিছুই শিখছে না। প্রাথমিক স্তরে ভিত শক্ত না হলে ছেলেমেয়েরা পরে সমস্যায় পড়বে। বিনপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিকাশচন্দ্র সর্দার বলেন, জঙ্গলঘেরা এই এলাকাগুলি দীর্ঘদিন ধরে অনুন্নত ছিল। বর্তমানে আইসিডিএস কেন্দ্রগুলোর পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দেওয়া হয়েছে। আদিবাসী ছেলেমেয়েরা কেন্দ্রগুলোতে যাচ্ছে। পুষ্টিকর খাবারের সঙ্গে কেন্দ্রে পঠনপাঠন যাতে হয় তার নজর দেওয়া হয়েছে। যেসব অভাব অভিযোগ রয়েছে, সেগুলো মেটানো হবে।
বিনপুর-২ ব্লকের বিডিও সুমন ঘোষ বলেন, জেলা ও ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা আইসিডিএস কেন্দ্রগুলোতে পরিদর্শন চালাচ্ছেন। একাধিক আইসিডিএস কেন্দ্রের পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে। যেসব কেন্দ্রগুলোতে পঠনপাঠন না চলার অভিযোগ উঠেছে, সেগুলো খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে। পরিদর্শনে জেলাশাসক সুনীল আগরওয়াল।-নিজস্ব চিত্র