কর্ম নিয়ে স্থানান্তর গমনে সাফল্যের যোগ। কর্মে স্থানগত বা সংস্থাগত পরিবর্তন অসম্ভব নয়। পারিবারিক ক্ষেত্রে ... বিশদ
ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনীতির আসরে নেমে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই বিতর্ক ঘিরে তৃণমূল ও বিজেপির চাপানউতোর শুরু হয়েছে। রমণীমোহন পঞ্চায়েত এখন বিজেপির দখলে। তৃণমূলের স্থানীয় নেতাদের দাবি, আবাসের প্রাপক ওই পরিবার বিজেপি সমর্থক। রমণীমোহনে তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি শিবপ্রসাদ দত্ত বলেন, তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য অজয়কুমার লেইয়া গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে অভিযোগ জানানোর পরও তারা কর্ণপাত করেনি। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে ‹দিদিকে বলো›তে আবেদন করে ২৬টি পরিবার আবাসের বাড়ি পেয়েছেন। তাঁর দাবি, ওই ২৬ জনের মধ্যে ১৪টি পরিবার বিজেপির কর্মী সমর্থক। ওই ১৪ জনের মধ্যে ভারতী আড়ির নামও রয়েছে। তৃণমূল নেতার অভিযোগ, বিজেপির লোকজন ‹দিদিকে বলো› পোর্টালের সুযোগ নিতে গিয়ে দুর্নীতি করছে, প্রশাসনের সঙ্গে প্রতারণা করছে। এই বিষয়টি প্রকাশ্যে এনে সবাইকে সতর্ক করা দরকার। বিজেপির জেলা নেতা তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, গরিব মানুষের বাড়ি নিয়ে রাজনীতি উচিত নয়। কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা যাতে সঠিকভাবে খরচ হয়, সে বিষয়ে প্রশাসনের আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। এক্ষেত্রে প্রশাসন তদন্ত করুক।
আবাস প্রাপক ওই পরিবারের বিরুদ্ধে ভুল তথ্য দিয়ে প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে, পঞ্চায়েতের আধিকারিক ও সার্ভেয়ারদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। গৌতমের স্ত্রী ভারতী আড়ি শুক্রবার বিকেলে দাবি করেন, ২০২০ সালে উমপুনের সময়ে বাড়ি ভেঙে পড়ায় তাঁরা পঞ্চায়েতের কাছে আবেদন করেন। পঞ্চায়েতের তালিকায় তাঁর স্বামীর নাম প্রাপকের তালিকায় রয়েছে বলে জানতেন না। মাস দেড়েক আগে ‹দিদিকে বলো›তে ফোন করেন। সেখান থেকেও তিনি বাড়ি পেয়েছেন। তিনি বলেন, আমার স্বামীও বাড়ি পেয়েছে জানতে পেরে পঞ্চায়েতকে আমি বাড়ি নেব না বলে জানিয়েছি। পঞ্চায়েত অফিসে পরিবারের তিনজনকে সোমবার ডেকেছে। মহিষাদলের বিডিও বরুণাশিস সরকার বলেন, ২০২২ সালে সার্ভের সময় থেকে ওই মহিলার স্বামীর নাম রয়েছে এবং এবারের ফাইনাল লিস্টেও ছিল। সেখবর জানার পরও ওই মহিলা ‹দিদিকে বলো›তে আবেদন করে বাড়ি পেয়েছেন। দু›টি ঘটনায় আলাদা সার্ভেয়ার ছিলেন। ওই মহিলা প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করেছেন। তবে উনি এখনও প্রশাসনকে লিখিতভাবে বাড়ি নেবেন না বলে মুচলেকা দেননি।