কর্ম নিয়ে স্থানান্তর গমনে সাফল্যের যোগ। কর্মে স্থানগত বা সংস্থাগত পরিবর্তন অসম্ভব নয়। পারিবারিক ক্ষেত্রে ... বিশদ
বিদ্যালয় পরিদর্শক সুদীপ সরকার বলেন, এভাবে টাকা নেওয়ার নিয়ম নেই। নতুন করে কোনও পড়ুয়ার থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হবে না। যেসব পড়ুয়ার থেকে বাড়তি টাকা নেওয়া হয়েছে, তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। বিদ্যালয়ের অন্য সমস্যা নিয়ে বৈঠক করা হবে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাব।
এদিন ওই বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণির পড়ুয়ারা রাস্তায় বসে অবরোধ শুরু করে। অভিযোগ, নতুন শ্রেণিতে ভর্তির জন্য সরকার-নির্ধারিত ২৪০ টাকার সঙ্গে আরও ৫৬০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া বর্ষা সাউ, রাধিকা রজক বলে, আমাদের বিদ্যালয়ে ভালো করে পড়াশোনা হয় না। বসার বেঞ্চ, পাখা সবকিছুরই খারাপ অবস্থা। অনেকবার প্রধান শিক্ষককে বলেও লাভ হয়নি। অভিভাবকরা বললেও লাভ হয় না।
অপর পড়ুয়া নেহা মালিক বলে, মিড-ডে মিলের খাবার খুবই খারাপ। সব্জি ঠিকমতো রান্না হয় না। কী খাবার দেওয়া হবে তা লেখা হলেও পরে দেখা যায়, অন্য খাবার দেওয়া হচ্ছে। ডিম দেওয়া হলেও তা সবাই পায় না। পড়ুয়াদের অভিযোগ, এবার প্রথমে বলা হয়েছিল ২৪০ টাকাতেই ভর্তি হওয়া যাবে। কিন্তু পরে বলা হয়, ৮০০ টাকা না দিলে ভর্তি নেওয়া হবে না।
অভিভাবিকা সীমা তিওয়ারি বলেন, এখানে পড়াশোনা হয় না। শিক্ষকদের একথা বললে আমাদের পাল্টা শুনতে হয়, সরকারি স্কুলে ভর্তি করলেন কেন? অপর এক অভিভাবক টুনটুন মণ্ডল বলেন, আমার এক ছেলে ও দুই মেয়ে এখানে পড়ে। কিন্তু স্কুলের পড়াশোনার হাল খুবই খারাপ।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয়ন্তকুমার পাণ্ডা বলেন, এটা ঠিক যে, ২৪০ টাকার বেশি স্কুল নিতে পারে না। কিন্তু আমাদের শিক্ষকের সংখ্যা কম। স্কুল পরিচালনা, বিদ্যুৎবিল সহ নানা খরচের জন্য ওই টাকা নেওয়া হয়। এখন সিদ্ধান্ত হয়েছে, ২৪০ টাকা করেই নেওয়া হবে। পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিষয়টি শুনলাম। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলব।-নিজস্ব চিত্র