কর্ম নিয়ে স্থানান্তর গমনে সাফল্যের যোগ। কর্মে স্থানগত বা সংস্থাগত পরিবর্তন অসম্ভব নয়। পারিবারিক ক্ষেত্রে ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ভোরে গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় শিলাবতী নদীর পাড়ে ফসল তুলতে গিয়েছিলেন রামশরণ। ঘন কুয়াশার মধ্যে তিনি হাতিটিকে দেখতে পাননি। আচমকা তাঁর সামনে চলে আসে হাতিটি। প্রাণ বাঁচাতে পালানোর চেষ্টাও করেন বৃদ্ধ। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। হাতিটি তাঁকে শুঁড়ে তুলে আছাড় মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই বৃদ্ধের। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
গ্রামবাসী জানান, খাবারের সন্ধানে মাঝে মধ্যেই হাতি গ্রামে ও জমিতে চলে আসছে। ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ছেন চাষিরা। একইসঙ্গে জঙ্গলে হাতি থাকায় সন্ধ্যার পর বাড়ি থেকে বাইরে যেতে ভয় পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বনদপ্তরের আধিকারিকরা জানান, রূপনারায়ণ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ৬টি হাতি বিভিন্ন জঙ্গলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। ২৪ ঘণ্টা হাতির গতিবিধির উপর নজর রাখছেন বনকর্মীরা।
এদিন রূপনারায়ণ বনবিভাগের ডিএফও শিবানন্দ রাম বলেন, খুবই দুঃখজনক ঘটনা। দ্রুত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে। গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে জঙ্গলমহলজুড়ে অন্যতম বড় সমস্যা হাতি। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন জঙ্গল সংলগ্ন গ্রাম, চাষের জমিতে হাতির হানায় ক্ষতির পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। হাতির সমস্যার সমাধান করতে নানা পরিকল্পনা করা হচ্ছে। কিন্তু তাতেও লাভের লাভ কিছুই হচ্ছে না। বরং মেদিনীপুর, রূপনারায়ণ, খড়্গপুর বনবিভাগ এলাকায় হাতির আক্রমণের ঘুম উড়েছে চাষিদের। হাতির আক্রমণের জেরে কয়েকশো বিঘার জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বর কেশপুর ব্লকের সোলিডিহা গ্রাম সংলগ্ন জঙ্গলে হাতির আক্রমণে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছিল।
স্থানীয় বাসিন্দা সন্দীপ মণ্ডল বলেন, গড়বেতার দিক থেকে হাতিটি চলে আসে। হাতিটি যে গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় এসেছে, তা অনেকেই জানত না। প্রচুর পরিমাণে ফসলেরও ক্ষতি হচ্ছে। গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। খুবই আতঙ্কে আছি।