কর্ম নিয়ে স্থানান্তর গমনে সাফল্যের যোগ। কর্মে স্থানগত বা সংস্থাগত পরিবর্তন অসম্ভব নয়। পারিবারিক ক্ষেত্রে ... বিশদ
প্রসঙ্গত, একসময় কেশপুর ছিল সিপিএমের গড়। লালপার্টির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল কেশপুরের মানুষ। রাজনৈতিক হানাহানি ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। তবে ২০০০ সাল থেকে কেশপুরের মাটিতে তৃণমূলের উত্থান শুরু হয়। সিপিএম নেতাদের চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করেই তৃণমূলের নেতাকর্মীরা লড়াই শুরু করেন। তৃণমূলের উত্থানের অন্যতম কারিগর ছিলেন মহম্মদ রফিক। জানা গিয়েছে, ২০০১ সালের ৩ জানুয়ারি কেশপুর অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময়ে তিনি রেলমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ ভিড় করেন কেশপুরে। জনসভা শেষে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের বাড়ি ফেরার পথে তাঁদের উপর চড়াও হয় হার্মাদ বাহিনী। জখম হন কয়েকশো তৃণমূল কর্মী। গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি মহিলাদের কানের দুল, গয়না লুট করা হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ব্যাপক মারধর করা হয়। তাঁর পায়ে আঘাত লাগে। সেই সময় তাঁর সঙ্গী ছিলেন মহম্মদ রফিক। এদিন রফিক বলেন, সেই স্মৃতি আজও ভুলতে পারিনি। দিদির সঙ্গে ছিলাম আমি। পাথর দিয়ে মেরেছিল হার্মাদরা। মহিলাদের উপর অত্যাচার আজও ভোলার নয়। কেশপুরের মানুষ সিপিএমকে কোনও দিন ক্ষমা করবে না। এটা কেশপুরের মানুষের কাছে ধিক্কার দিবস।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৬ সালের পর থেকে কেশপুরের মাটিতে সিপিএমের অত্যাচার আরও বেড়ে যায়। ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদল হলেও কেশপুরের রাজনৈতিক রং বদলায়নি। কেশপুর থেকে সিপিএম জিতেছিল। ২০১৬ সালে কেশপুর বিধানসভায় জেতে তৃণমূল। এরপর কেশপুরের মাটিতে সিপিএম আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। কেশপুরের বাসিন্দা শ্যামলকুমার মণ্ডল বলেন, রোজ রাজনৈতিক অশান্তি হতো। বিরোধীরা সংগঠন করতে পারত না। আজ দিন বদলেছে।-নিজস্ব চিত্র