কর্ম নিয়ে স্থানান্তর গমনে সাফল্যের যোগ। কর্মে স্থানগত বা সংস্থাগত পরিবর্তন অসম্ভব নয়। পারিবারিক ক্ষেত্রে ... বিশদ
জানা গিয়েছে, ওই খাদটি প্রায় ১২০ ফুট গভীর। সেখানে ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় এক যুবক পড়ে থাকার পরও উদ্ধার না হওয়ায় এলাকায় ক্ষোভ বাড়ছিল। ইসিএলের মাইন রেসকিউ টিম বিকেল থেকে বিশালাকার ক্রেন এনে ডুবুরি নামিয়ে উদ্ধারকার্য চালানোর চেষ্টা করে। রাতে ভীষমের দেহ উদ্ধার হতেই স্থানীয় মানুষের ক্ষোভে ঘৃতাহুতি পড়ে।ঘটনার জেরে এদিন কোলিয়ারিতে কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নর্থ সিয়ারসোল ওসিপি থেকে অবৈধ ভাবে কয়লা চুরি হয়ে আসছে দিনের পর দিন। ওসিপির একাংশ জুড়ে কয়লা কাটা হয়। তারপর রানিগঞ্জের মহাবীর এলাকার বেশ কিছু মানুষ সাইকেলের করে সেই কয়লা নিজেদের এলাকায় নিয়ে যায়। ৮০ টাকা বস্তায় কয়লা কিনে তা পুড়িয়ে পরে বিক্রি করে। অভিযোগ, শুক্রবার ভোরেও সেই কাজ হচ্ছিল। তখনই সিআইএসএফ কয়লা চোরদের তাড়া করে। পালাতে গিয়ে কুয়োর খাদে তলিয়ে যায় রানিগঞ্জের মহাবীরের বাসিন্দা ভীষম। বিষয়টি সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ জানাজানি হতেই এলাকায় লোক জমতে শুরু করে। রানিগঞ্জের মহাবীর কোলিয়ারি থেকেও বহু মানুষ চলে আসে। নর্থ সিয়ারসোল ওসিপির কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পুরো এলাকা ঘিরে রাখে সিআইএসএফ। পুলিসের বিশাল বাহিনী হাজির হয়। ইসিএলের মাইন রেসকিউ টিমের সদস্যরা সকাল থেকে নানা যন্ত্রাংশ দিয়ে ভীষমকে উদ্ধারের চেষ্টা চালালেও ব্যার্থ হয়। পরে রেসিকিউ টিমের যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে নেমে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দা বিপদ বাউরি। তিনি গভীর কুয়োর খাদ থেকে নিখোঁজের সাইকেলটি তুলে আনতে পারলেও ভীষমের খোঁজ পাননি। তিনি খাদ থেকে উঠে জানান, প্রচণ্ড গভীরে জল। সেখানে কাউকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। এরপরই ইসিএল ডুবুরি নামানোর সিদ্ধান্ত নেয়। আনা হয় বিশেষ ক্রেন। এলাকায় প্রচুর আলোর ব্যবস্থা করা হয়। তারপরেই ভীষমের দেহ খাদ থেকে উদ্ধার করা হয়।
ইসিএলের মাইন রেসকিউ সুপারিনটেন্ডেন্ট অভিজিৎ কুণ্ডু বলেন, আমরা সকাল থেকেই উদ্ধারকাজ চালাচ্ছিলাম। খাদে জল রয়েছে। রাতে দেহটি উদ্ধার হয়। ডিসি ধ্রুব দাস বলেন, একজন কুয়োর খাদে পড়ে গিয়েছেন। বিকেল পর্যন্ত খবর তাঁকে উদ্ধারের সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে। এদিকে, কীভাবে প্রকাশ্যে ইসিএলের ওসিপির নাকের ডগায় এই কুয়ো খাদ রইল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জানা গিয়েছে, এই এলাকায় কয়লা চোরদের দাপাদাপি রয়েছে। আশপাশে বহু জায়গায় কুয়োর খাদ রয়েছে। সেগুলির গভীরতা ভয়ঙ্কর। মানুষ জীবিকার জন্য কয়লা চুরি করতে গিয়ে ওইসব খাদে পড়ে গিয়ে ধারাবাহিক মৃত্যুর মুখে পড়ছে। সম্প্রতি নারায়ণকুড়িতে ৩ জন বাঁশড়ায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছিল। তারপরও অব্যাহত কয়লা চুরি। সঙ্গে মৃত্যুও! -নিজস্ব চিত্র