ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বাধায় চিন্তা ও উদ্বেগ। বেকারদের ভালো প্রতিষ্ঠানে কর্মপ্রাপ্তির প্রবল যোগ। ... বিশদ
বাংলার সঙ্গে গুজরাতি মাছের ফরাক বোঝা যাবে কীভাবে? মৎস্য আধিকারিক সুমনকুমার সাহু বলেন, একটু চোখ মেললেই ফারাক বোঝা যাবে। গুজরাতের ইলিশ বড় সাইজের হয়। পেট অনেকটা চওড়া। চোখগুলিও বড়। লেজ এবং মাথার গড়নেও পার্থক্য রয়েছে। বাংলার রুপোলি ফসলের চোখ তুলনামূলকভাবে ছোট। এই মাছ দেখতে অনেকটা পটলের মতো। মুখ এবং লেজের দিকটা সরু। গুজরাতের ইলিশ বড় হলেও স্বাদ পাওয়া যায় না। বিক্রেতাদের একাংশ গুজরাতের ইলিশকেই বাংলার রুপোলি ফসল বলে চালাতে চায়। কিন্তু ‘জহুরি’রা ঠিক চিনে নেন। ইলিশের মতোই দেখতে আরও কিছু মাছ পাওয়া পাওয়া যায়। যাঁরা নিয়মিত বাজারে যান তাঁরা ফারাক ঠিক বুঝতে পারেন। মৎস্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গুজরাতে ইলিশ পাওয়া গেলেও সেখানে ততটা কদর নেই। কিন্তু ইলিশের নাম শুনলেই বাঙালির জিভে জল আসে। সেই সুযোগই নিচ্ছে একশ্রেণির ব্যবসায়ী। বড় সাইজের গুজরাতি ইলিশ এনে তারা মোটা টাকায় বিক্রি করতে চাইছে। কিন্তু স্বাদ না ভালো হওয়ায় এই মাছের দাম তত বেশি হওয়া উচিত নয়।
বর্ধমানের স্টেশন বাজারে আসা ক্রেতা আনন্দ হালদার বলেন, সব সময় ইলিশ মাছ কেনার সাধ্য থাকে না। উৎসবের মরশুমে তা পাতে তুলতে ইচ্ছে করে। কিন্তু বাজারে এসে আসল নকলের পার্থক্য করাই দায় হয়ে উঠছে। গুজরাত থেকে ইলিশ বাজারে আসে সেটাই জানতাম না। পরে শুনেছি। এখন মাছ কেনার সময় রূপ নয়, আকৃতি দেখে ইলিশ কিনি। বাংলার রুপোলি ফসলকে টেক্কা দেবে এমন সাধ্য কার আছে।