সংবাদদাতা, কাটোয়া: জলাশয়ের দূষণ এড়াতে প্রশাসনের গুচ্ছ নির্দেশিকা উড়িয়ে প্রতিমা বিসর্জন অব্যাহত রয়েছে। কাটোয়া মহকুমার গ্রামীণ এলাকার বিভিন্ন জলাশয়ে বিসর্জনের পর কাঠামো ফেলে রাখা হচ্ছে। কাটোয়ার পানুহাটের দিঘির জলেও ভাসছে একাধিক কাঠামো। বিসর্জনের পর একদিন কেটে গেলেও জলের মধ্যে পচছে কাঠামো, খড়, প্লাস্টিকের ফুল, মালা। তাতে দূষণের আশঙ্কা করা হচ্ছে। কাটোয়া ১ ব্লকের খাজুরডিহি পঞ্চায়েতের পানুহাটের দিঘিতে গেলেই চোখে পড়বে সার দিয়ে ভাসছে প্রতিমার কাঠামো সহ ফুল, মালা ও নানা রাসায়নিক রং। বিসর্জনের একদিন পরেও সেই কাঠামো তুলে নেওয়া হয়নি। দিঘির পাড়েও প্রতিমা বিসর্জন নিয়ে অবশ্য কোনও সচেতনতা মূলক বোর্ড লাগানো নেই। কাটোয়া মহকুমার পাঁচটি ব্লক এলাকার বিভিন্ন পুকুর ও পূর্বস্থলী এলাকারও ছোট বড় জলাশয়গুলিতে একই চিত্র দেখা যাচ্ছে। জল দূষণ নিয়ে অনেকেই সচেতন হচ্ছেন না বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে খাজুরডিহি পঞ্চায়েতের সদস্য বিকাশ চৌধুরী জানান, আমরা বিষয়টি দেখছি। কাঠামো তুলে নেওয়ার জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছি।জানা গিয়েছে, প্রতিমার রঙে নানা ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহৃত হয়। সেগুলিও জলে মিশছে। তা থেকে নানা ধরনের রোগ ব্যাধি, এমনকী চর্মরোগ পর্যন্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। সচেতনতার অভাবে স্থানীয় গ্রামের বাসিন্দারা সেই পুকুর বা দিঘির ঘাটেই দু’বেলা ব্যবহার করছেন। তাতে রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা বেশি থাকে। প্রশাসনিক নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিমা বিসর্জনের পরেই জল থেকে কাঠামো তুলে নিতে হয়। কিন্তু কাটোয়ার পাশাপাশি মঙ্গলকোট, কেতুগ্রাম, পূর্বস্থলী সহ বিভিন্ন গ্রামের জলাশয়গুলিতে ভাসতে দেখা যাচ্ছে দুর্গাপ্রতিমা।
জানা গিয়েছে, প্রশাসনিক স্তরে নানাভাবেই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে দূষণ রোধের। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লক্ষ্য করা গিয়েছে, শহর অঞ্চলে বিভিন্ন সচেতনতা মূলক উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু গ্রামীণ এলাকায় সেই উদ্যোগ বাস্তবে দেখা যায় না। কাটোয়া পুরসভা ভাগীরথী দূষণ এড়াতে একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে। নদীর মধ্যেই জাল দিয়ে ঘিরে ফুল ফেলার ব্যবস্থা করা হয়েছে।-নিজস্ব চিত্র