ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বাধায় চিন্তা ও উদ্বেগ। বেকারদের ভালো প্রতিষ্ঠানে কর্মপ্রাপ্তির প্রবল যোগ। ... বিশদ
আগামী ১৫ নভেম্বর শুক্রবার নবদ্বীপের ঐতিহ্যপূর্ণ শাক্ত ও বৈষ্ণবদের মিলন উৎসব রাস। মন্দির নগরী এই শহরে প্রায় সাড়ে তিনশোর বেশি শাক্ত, বৈষ্ণব, শৈব সহ বিভিন্ন দেবদেবীর পূজা হয়। নবদ্বীপের রাস মূলত শাক্তরাস, যার বাড়বাড়ন্ত মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের ঐকান্তিক ইচ্ছাতেই। বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে যে উল্লেখযোগ্য পুজোগুলির কাঠামো পুজো হল তার মধ্যে ঐতিহ্যপূর্ণ যোগনাথতলার জোড়া বাঘ গৌরাঙ্গিনী মাতা, বড়ালঘাটের ভুবনেশ্বরী, হরিসভা পাড়ার ভদ্রকালী মাতা, রামসীতা পাড়ার বামাকালী, রণকালী, অমর ভারতী ক্লাবের গণেশ জননী, রাধাবাজার পার্কের ডুমুরেশ্বরী, রয়েল ক্লাব ও বিশ্বজয়ী ক্লাবের পার্থসারথি, পিরতলার গঙ্গামাতা, রয়্যাল সোসাইটির মহিষমর্দিনী মাতা, বুড়োশিবতলার কাত্যায়নী মাতা সহ বিভিন্ন দেবদেবীর। বৃহস্পতিবার কাঠামো পুজো হয় আগমেশ্বরী পাড়ার আমড়াতলার মহিষমর্দিনী মাতা, ঢপওয়ালির মোড়ের নটরাজ, রামগোবিন্দ রোডের ভারতমাতা সহ বিভিন্ন দেবদেবীর।
নবদ্বীপ কেন্দ্রীয় রাস উৎসব কমিটির কার্যকরী সভাপতি দিলীপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, সরকারি হিসেবে প্রায় ২৪০টি পুজো হলেও বেসরকারি হিসেবে প্রায় সাড়ে তিনশোর বেশি বিভিন্ন দেবদেবীর পুজো হয় এই শহরে। ১৯৯৪ সালে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিমা শোভাযাত্রা অর্থাৎ স্থানীয় ভাষায় আড়ং করার জন্য সার্কুলার রোডের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। আর সেই সময়ে হাতেগোনা কয়েকটা বারোয়ারি ওই সার্কুলার রোডের আড়ংয়ে অংশগ্রহণ করেছিল। এখন অধিকাংশ প্রতিমাই ওই সার্কুলার রোড ধরে শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। এই রাস দেখতে দেশ-বিদেশের অসংখ্য মানুষ ভিড় করেন। এই রাস উৎসব যাতে শান্তিপূর্ণভাবে করা যায় সেজন্য প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে সব রকম চেষ্টা করবে কেন্দ্রীয় রাস উৎসব কমিটি । নবদ্বীপ পুরসভার চেয়ারম্যান বিমানকৃষ্ণ সাহা বলেন, প্রায় সাড়ে তিনশোর বেশি বিভিন্ন দেবদেবীর পুজো হয়। ঐতিহ্যপূর্ণ এই উৎসব যাতে শান্তিপূর্ণ এবং সুষ্ঠুভাবে হয় পুরসভা সেদিকে নজর রাখবে। -নিজস্ব চিত্র