ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বাধায় চিন্তা ও উদ্বেগ। বেকারদের ভালো প্রতিষ্ঠানে কর্মপ্রাপ্তির প্রবল যোগ। ... বিশদ
তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, ভোটের জন্য আমাদের কর্মী সমর্থকরা ১০০ শতাংশ প্রস্তুত। চোখে চোখ রেখে ভোটের ময়দানে লড়াই হবে। প্রতিটি পঞ্চায়েত ও পুরসভায় ওয়ার্ডভিত্তিক অবজার্ভার রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সমস্তস্তরের কর্মীকে ভোট যুদ্ধে শামিল হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া বিজেপির মুখ ও মুখোশ মানুষ বুঝতে পেরেছে। তাই মানুষ আর গেরুয়া বাহিনীর সঙ্গে নেই।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের পর থেকে মেদিনীপুর বিধানসভায় জয়লাভ করে আসছে তৃণমূল। ২০২১-এর নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রতীকে জয়লাভ করেন জুন মালিয়া। গত লোকসভা নির্বাচনে জয়লাভ করার পর তিনি সাংসদ হন। তাই এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হচ্ছে। রাজ্যের বেশ কয়েকটি আসনের সঙ্গে ১৩ নভেম্বর এই কেন্দ্রে ভোট হবে। নির্ঘণ্ট ঘোষণা হতেই ভোট ময়দানে নেমে পড়েছে ঘাসফুল শিবির। নিজেদের গড়ে ফের ঘাসফুল ফোটাতে তারা মরিয়া। একের পর এক নির্বাচনে হেরে এমনিতেই অনেকটা ব্যাকফুটে বিরোধী শিবির। এই আসন পুনর্দখল করে বিরোধী শিবিরকে কার্যত দুরমুশ করে দিতে চাইছে শাসকদল।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর বিধানসভার বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূলের তরফে বিজয়া সম্মেলনী করা হবে।
সেই সম্মেলনীর মাধ্যমে প্রচার করা হবে। এছাড়া বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা মানুষের সামনে তুলে ধরার পরিকল্পনা করা হয়েছে। অর্থাৎ, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী সহ বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের সাফল্যের দিক মানুষের সামনে তুলে ধরা হবে। এক তৃণমূল নেতা বলেন, কালীপুজো ও ভাইফোঁটার সময়েও প্রচার চালানো হবে। প্রতিটা বুথ ধরে ভোটের মার্জিন বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।
তবে তৃণমূলকে ভাবাচ্ছে দলের গোষ্ঠী কোন্দল। অনেক বড়, মেজো, সেজো গোষ্ঠী রয়েছে। তারা যাতে সকলেই নির্বাচনের সময় এক হয়ে কাজ করেন, তার জন্য শুরুতেই বার্তা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীকে জেতানোর বদলে নিজেদের সুবিধা দেখলে, তাদের যে রেয়াত করা হবে না, তা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের এক নেতা বলেন, দলের স্বার্থে সকলকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াইয়ের নির্দেশ দিয়েছে জেলা নেতৃত্ব।