ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বাধায় চিন্তা ও উদ্বেগ। বেকারদের ভালো প্রতিষ্ঠানে কর্মপ্রাপ্তির প্রবল যোগ। ... বিশদ
বেগুন থেকে আদা, রসুন, পেঁয়াজ, ঝিঙে, ফুলকপি সহ সব সব্জির দাম চড়া। এতদিন টম্যাটোর দাম নিয়ে গেলগেল রব উঠেছিল। মাঝে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের বাজারে হানার জেরে দাম কিছুটা কমে এলেও বর্তমানে ১০০টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে বাজারে। এরমধ্যেই ছ্যাঁকা দিচ্ছে কাঁচালঙ্কা। অন্যান্য বছর এইসময় ১০০গ্রাম কাঁচালঙ্কা ১০-১২টাকায় বিক্রি হয়। দাম বাড়লে ১৫টাকা দিতে হয়। রামপুরহাটে সেই ১০০গ্রাম লঙ্কা কিনতে ২৫টাকা দিতে হচ্ছে। অর্থাৎ কেজি প্রতি ২৫০টাকা। অনেকেই কম পরিমাণে লঙ্কা কিনছেন।
শুধু লঙ্কা নয়, বাঙালির প্রিয় মাছ-মাংস বা অন্যান্য পদ রান্নায় রসুন আবশ্যিক। বাজারে সেই রসুন ৩৫০টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ বেশ কিছুদিন ধরেই ৬০টাকা কেজি। এছাড়া নিত্য প্রয়োজনীয় সব্জির মধ্যে বেগুন সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে। কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০টাকা দরে। ৩০টাকা কেজি দরে বিকচ্ছে জ্যোতি আলু। চন্দ্রমুখী আলু ৪০টাকা কেজি। পটল, ঝিঙে হাফ সেঞ্চুরি করেছে। দাম অপেক্ষাকৃত কম কুমড়োর। কেজি প্রতি দাম ২৫টাকা। কাঁচা আনাজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন অনেকে। রামপুরহাটে বাজারে আসা ক্রেতা অনিমেষ হালদার বলেন, এখন বাজার মধ্যবিত্তের হাতের নাগালের বাইরে। সাধারণ মানুষ এখন চরম আর্থিক কষ্টে বেঁচে থাকার লড়াই করছে। সব্জি থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, বিদ্যুতের যা দাম বেড়েছে তাতে সংসার চালানো কষ্টকর।
কয়েকমাস ধরে সব্জির দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে। গত জুলাই মাসে দাম নিয়ন্ত্রণে মুখ্যমন্ত্রী বাজারে গিয়ে অভিযান চালানোর জন্য প্রশাসনিক কর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশমতো জুলাই মাসের শেষের দিকে জেলা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের সদস্যরা রামপুরহাটের রাজারে হানা দেন। দাম এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে যায়। কিন্তু তারপরও উল্লেখযোগ্য কোনও পরিবর্তন নেই। যে হারে সব্জির দাম বাড়ছে তাতে কম আয়ের মানুষের টিকে থাকা দায় হয়ে পড়েছে।
রামপুরহাটের এক সব্জি বিক্রেতা বলেন, অতিবৃষ্টিতে চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাতে জোগানের তুলনায় চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দাম বেশি। আর এক বিক্রেতা বলেন, পাইকারি বাজারে দাম চড়া। সামান্য লাভ রেখে বিক্রি করছি। এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের এক অফিসার বলেন, শুধু বীরভূম জেলা নয়, রাজ্যের সর্বত্রই সব্জির দাম আগুন। আলু ছাড়া সব সব্জির দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে। এখন বাজারগুলিতে অভিযান চালিয়েও খুব একটা সুবিধা হবে বলে মনে হচ্ছে না। তিনি বলেন, আগে অতিরিক্ত রোদ- গরমে সব্জি নষ্ট হয়েছে। এখন অতিবৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে।