ছোট ও মাঝারি ব্যবসার প্রসার ও বিক্রয় বৃদ্ধি। অর্থাগম ক্রমশ বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা। ... বিশদ
নির্বাচন হোক কিংবা সংগঠন, সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে পর্যন্ত বীরভূমে অনুব্রতই ছিলেন তৃণমূলের শেষ কথা। জেলার কোথাও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দেখলে তা নিজস্ব কায়দায় মেটাতেন। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে কার্যত বীরভূম জেলায় ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। কিন্তু গোরু পাচার কাণ্ডে তাঁর গ্রেপ্তারের পর পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়। সেসময় থেকেই ক্রমশ উত্থান হতে থাকে নানুরের দাপুটে নেতা কাজল শেখের। তিনি বরাবরই অনুব্রতর বিরোধী গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত। এমনকী, অনুব্রতর গ্রেপ্তারের পর তাঁকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। গ্রেপ্তারের দিন নিজের ফেসবুক পেজে রুগ্ন সিংহের ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছিলেন, ‘চেহারা, দাপট, অবস্থান, ক্ষমতা ও শক্তি চিরস্থায়ী হয় না। দুঃখের বিষয় অনেকেই এটা ভুলে যায়।’ এরপর থেকেই রাজনৈতিকভাবে কাজলের উত্থান হয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতে জেলা পরিষদের সভাধিপতি নির্বাচিত হন। অনুব্রতর গ্রেপ্তারের পর জেলার টালমাটাল অবস্থার কথা মাথায় রেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোর কমিটি তৈরি করেন। সেখানেও ঠাঁই পান কাজল। তাঁর এই উত্থানে ক্রমেই অনুব্রত অনুগামীরা কোণঠাসা হয়ে পড়েন। বোলপুর ফিরে আসার পর অনুব্রতর সঙ্গে কাজলের সম্পর্কের সমীকরণ কী হয়, সেদিকেই তাকিয়ে ছিল রাজনৈতিক মহল।
এদিন ঘণ্টাখানেক বৈঠকে দু’জনের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে কথা হয়েছে। কাজল সংবাদ মাধ্যমের সামনে বলেন, আজকের সাক্ষাৎ একান্তই সৌজন্যমূলক ছিল। কোনও রাজনৈতিক আলোচনা হয়নি। আগে কলকাতা থেকে চিকিৎসা করে সুস্থ হয়ে ফিরে আসুক, তারপর কথা হবে। তিনি দু’বছর ছিলেন না, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল। তাই সবার মতো আমিও সৌজন্য সাক্ষাৎ করলাম। তবে কেষ্টদার অনুপস্থিত থাকলেও তৃণমূল বীরভূমে কখনোই দুর্বল ছিল না, আগামী দিনেও থাকবে না। টিম অনুব্রত একজোট হয়ে কাজ করেছে। তিনি আগেও সবাইকে নিয়ে চলেছেন, আগামীতেও সবাইকে নিয়ে চলবেন এনিয়ে কোনও দ্বিমত নেই। কোর কমিটি হোক বা জেলা কমিটি, রাজ্য নেতৃত্ব যে নির্দেশ দেবে, সেভাবেই জেলা সংগঠন কাজ করবে। কাজল আরও বলেন, কেষ্টদার সঙ্গে আমার কখনোই মতবিরোধ ছিল না। এটা সংবাদ মাধ্যমের একাংশের তৈরি। তাঁর পরিবারের সঙ্গে আত্মিক সম্পর্ক ছিল, আছে, থাকবে। -নিজস্ব চিত্র