ছোট ও মাঝারি ব্যবসার প্রসার ও বিক্রয় বৃদ্ধি। অর্থাগম ক্রমশ বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা। ... বিশদ
ঝাপড়া মোড়ের কাছে একটি বেসরকারি স্কুল রয়েছে। প্রতিদিনের মতো এদিন পাড়ার শাকড়া এলাকার ন’জন স্কুল পড়ুয়াকে নিয়ে টোটোটি স্কুলের উদ্দেশে রওনা দেয়। পুরুলিয়া-বরাকর রাজ্য সড়ক ধরে স্কুল পড়ুয়াদের নিয়ে টোটাটি যাচ্ছিল। টোটোটি স্কুলে ঢোকার জন্য বাঁক নিচ্ছিল। অভিযোগ, সেই সময় রাজ্য সড়ক দিয়ে রঘুনাথপুরগামী একটি লরি যাচ্ছিল। তা টোটোকে ধাক্কা মারে। ঘটনায় টোটো সহ চালক ও স্কুল পড়ুয়ারা দূরে ছিটকে পড়ে। জোরে ব্রেক কষলে লরিটিও নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কিছুটা দূরে গিয়ে উল্টে যায়। স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিস দ্রুত জখমদের উদ্ধার করে রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। লরি ও টোটোর চালক সহ সাত পড়ুয়ার সেখানে চিকিৎসা চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লরি চালক টোটোটিকে বাঁচানোর সব রকম চেষ্টা করেছে। টোটোটি হঠাৎ করে বাঁক নেওয়ার জন্যই ঘটনাটি ঘটেছে। ছোট ছোট বাচ্চারা এমনিতেই চঞ্চল। তাদের টোটো করে স্কুলে নিয়ে যাওয়াটা কতটা সুরক্ষার, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষই বা অনুমোদন দিয়েছিল কী করে? বিষয়টি প্রশাসনের অবশ্যই গুরুত্ব দিয়ে দেখা প্রয়োজন। তা না হলে আগামী দিন আরও বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তবে সবার আগে অভিভাবকদের সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
টোটোচালক শেখ সোফি আলম বলেন, স্কুলে ঢোকার জন্য টোটো নিয়ে বাঁক নিচ্ছিলাম। হঠাৎ সেই সময় লরিটি এসে টোটোর পিছনে সজোরে ধাক্কা দেয়। টোটোতে ন’জন স্কুল পড়ুয়া ছিল। আমরা সকলে দূরে ছিটকে পড়ি। আমার মাথায় ও মুখের নীচের চোয়ালে আঘাত লেগেছে।
জখম স্কুল পড়ুয়াদের এক অভিভাবক মানিক মাজি বলেন, এদিন খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসি। এত বড় দুর্ঘটনা ঘটে যাবে ভাবতেও পারিনি। পুলিস জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। টোটো ও লরিটিকে আটক করা হয়েছে। -নিজস্ব চিত্র