ছোট ও মাঝারি ব্যবসার প্রসার ও বিক্রয় বৃদ্ধি। অর্থাগম ক্রমশ বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা। ... বিশদ
পুজো কমিটির সদস্য কাঞ্চন শাসমল ও সুরত শাসমল সহ উদ্যোক্তারা বলেন, জীবজগতে জলই প্রাণের উৎস। তাই আমাদের থিম জল সংরক্ষণ। আর গঙ্গাজলেই গঙ্গাপুজো অর্থাৎ মাতৃ আরাধনা। জলের অপচয় যাতে না হয় ও জলসঞ্চয়ের উপর সচেতনতামূলক বার্তা তুলে ধরে প্রতিমা থেকে মণ্ডপ সেজে উঠবে। এবছর আমাদের পুজো ৫৪তম বছরে পদার্পণ করছে। স্বর্ণপদক প্রাপ্ত দুর্গাপুরের শিল্পী সোমনাথ অধিকারী প্রতিমা ও থিম ফুটিয়ে তুলছেন। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, প্রতিমা ও মণ্ডপসজ্জা দুর্গাপুর সহ বাইরে থেকে আসা দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করবে।
শিল্পী সোমনাথবাবু বলেন, গামার গাছের একটিই মাত্র বিশালাকার গুঁড়ির উপর খোদাই করে প্রতিমা তৈরি করছি। প্রতিমার ওজন হচ্ছে প্রায় ৪৬০ কেজি। প্রতিমা সহ লক্ষ্মী ও সরস্বতীও মৎস্যকন্যা রূপে দেখা যাবে। কার্তিক ও গণেশ পদ্ম ফুলের উপর থাকবে। এছাড়াও মণ্ডপের অন্দরে বহু কাঠের মডেল থাকবে। ফাইবার গ্লাসের ৫০০টি মডেল থাকবে মণ্ডবে। কাঠের উপর খোদাই করা প্রায় ৪০টি পুরুষ ও নারীর মূর্তি সহ গণেশের মূর্তি করা হয়েছে। মা দুর্গার আটটি হাতে থাকছে কমণ্ডলু। আর দু’টি হাতে ত্রিশূল থাকছে। পৃথিবীর ভূগর্ভস্থ জলস্তর ধীরে ধীরে নেমে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই বহু জায়গায় জলের হাহাকার শুরু হয়ে গিয়েছে। জল অহেতুক অপচয় না করে সংরক্ষণ করার বার্তা তুলে ধরা হচ্ছে এই থিমের মাধ্যমে।
পুজো কমিটির সভাপতি নমেন্দু ভট্টাচার্য ও সম্পাদক কৃষ্ণচন্দ্র সাধু বলেন, মহালয়ার দিন বিশাল শোভাযাত্রা হবে। এলাকায় প্রায় ৫০০জন মহিলা ও পুরুষ থাকবেন। মহিলারা লালপাড় শাড়ি ও পুরুষরা পাঞ্জাবি পরবেন। শোভাযাত্রা পুষ্পবৃষ্টির মধ্যে এগিয়ে যাবে। স্থানীয় শিল্পীদের নিয়ে ওইদিন এলাকার রাস্তায় আলপনা প্রতিযোগিতা হবে।
প্রথম নৃত্যানুষ্ঠান হবে মহিষাসুরমর্দিনী। দুঃস্থদের বস্ত্র বিতরণ ও নৃত্যানুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পঞ্চমীতে পুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে। আতসবাজি প্রদর্শন হবে। এছাড়া প্রতিদিনই সাংস্কৃতিক ও বিচিত্রানুষ্ঠান রয়েছে। বাউল গানের আসরও রয়েছে। ভোর ৪ টের সময় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে নবপত্রিকার স্নান হবে। থাকছে কে হবেন পাড়ার সেরা দিদি নম্বর-১। স্যাক্সোফোন শিল্পীদের নিয়ে আরও একটি চমৎকার অনুষ্ঠান হবে। নবমীতে প্রায় ছ’হাজার মানুষকে মহাপ্রসাদ খাওয়ানো হবে। ওড়িশা থেকে রাঁধুনি আসছেন। ঢাক ঢোল সহযোগে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় প্রতিমা নিরঞ্জন হবে। পুজো কমিটির কোষাধ্যক্ষ দীপক মাহান্তি বলেন, এবার বাজেট প্রায় ২০ লক্ষ টাকা।