ছোট ও মাঝারি ব্যবসার প্রসার ও বিক্রয় বৃদ্ধি। অর্থাগম ক্রমশ বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা। ... বিশদ
ফরাক্কায় গঙ্গার জলস্তর বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গঙ্গার তীরবর্তী এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। গত প্রায় দুই মাস ধরে লাগাতার ভাঙন চলছে সামশেরগঞ্জের অন্তত দশটি গ্রামে। একগ্রামের ভাঙনের রেশ কাটতে না কাটতে নতুন গ্রামে ভাঙন দেখা দিচ্ছে। ইতিমধ্যেই বহু পাকা বাড়ি নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। তারমধ্যে নতুন শিবপুরে একই দিনে অন্তত দশটি পাকা বাড়ি, গাছপালা সহ কয়েক মিটার জমি তলিয়ে যায়। তারপরই লোহরপুরে গঙ্গা ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে। মাটির বাঁধের একাংশ ভেঙে গঙ্গা গ্রামীণ এলাকায় ফুঁসতে থাকে। প্রতাপগঞ্জ, মহেশটোলাতে একাধিক পাকা বাড়ি তলিয়ে যায়। প্রায় শতাধিক পরিবার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরিয়ে নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে ঠাঁই নিতে বাধ্য হয়। এদিকে প্রতিদিনই ফরাক্কা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার ফলে গঙ্গা ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। এলাকায় বন্যা আশঙ্কা তাড়া করছে। গঙ্গায় ঘরবাড়ি তলিয়ে গিয়ে পথে বসেছে বহু মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে তাঁরা প্রতিবেশীর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। ভুক্তভোগী মানুষের দাবি, তাঁদের থাকার ঘর করে দিক সরকার। বাঁধের নিচু অংশ দিয়ে কোনও কোনও এলাকায় জল গ্রামে ঢুকেছে। তাতেই বন্যার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। যদিও বৃহস্পতিবার থেকে নদীতে জলস্তর কিছুটা কমেছে। বাঁধ থেকে কয়েক ফুট নীচে রয়েছে গঙ্গার জলস্তর। ফলে এখনই বন্যার আশঙ্কা নেই বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। -নিজস্ব চিত্র