সংবাদদাতা, হলদিয়া: সুতাহাটা ব্লকের পঞ্চায়েতেও বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল। বিজেপি পরিচালিত চৈতন্যপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে কংক্রিটের রাস্তা তৈরির অভিযোগ এনেছেন ওই পঞ্চায়েতেরই বিজেপি সদস্য। অভিযোগ, চৈতন্যপুর পঞ্চায়েতের আকুবপুর মৌজায় ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গায় জোর করে সরকারি ঢালাই রাস্তার তৈরির স্কিম করেছে বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েত। তা নিয়েই দলের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব এখন প্রকাশ্যে। সরব হয়েছেন ওই এলাকার বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য। তিনি দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে তৃণমূল পরিচালিত সুতাহাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অশোক মিশ্র বিএলএলআরওকে বিষয়টি তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি সুতাহাটা ব্লকের চৈতন্যপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে বেশ কিছু কাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। সেই দরপত্রের তালিকায় ৬ নম্বরে রয়েছে বরদা এলাকায় সরস্বতী ঘোড়াইয়ের বাড়ি থেকে বরদা-আকুবপুর সংযোগকারী রাস্তা পর্যন্ত কংক্রিট রোড-এর স্কিম। রাস্তা তৈরির জন্য ২ লক্ষ ৪১ হাজার ২৯৪ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। অভিযোগ, ওই জমিটি ব্যক্তি মালিকানাধীন। জমির দুই মালিক শম্ভুনাথ সামন্ত এবং তৃপ্তিরানি সামন্ত চৈতন্যপুরের প্রধানের কাছে অভিযোগ করেও সুরাহা পাননি। উল্টে গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
জমির মালিকদের পক্ষে দাঁড়ানো বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য দেবপ্রসাদ রানা বলেন, একটি বেআইনি কাজ হচ্ছে। তাই প্রতিবাদ করেছি। গ্রাম সংসদ সভায় প্রতিবাদ করেও সুরাহা না মেলায় পঞ্চায়েত সমিতিকে বিষয়টি জানিয়েছি। চৈতন্যপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রধান সোমনাথ মান্না বলেন, গ্রামবাসীদের তরফে আবেদন পেয়ে ওই রাস্তা তৈরি দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। যে দু’জন অভিযোগ করেছিলেন তাঁদের জমির কাগজপত্র মৌখিকভাবে চেয়ে পাঠানো হয়েছিল তাঁরা কোনও কাগজপত্র জমা দেননি। যদি কোনও অভিযোগ আসে তাহলে ওই এলাকায় কাজ বন্ধ থাকবে। এজন্য নো অবজেকশন দরকার। তবে আপত্তি জানানোর পরও কেন টেন্ডার ডাকা হল, তার কোনও সদুত্তর দেননি প্রধান। সুতাহাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বলেন, ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জমিতে সরকারি রাস্তা তৈরি করা যায় না। বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যের তরফে অভিযোগ পেয়েছি। ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরকে বিষয়টি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দেওয়ার আবেদন করেছি।