ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা। ... বিশদ
কয়লা, গোরু পাচার সহ একাধিক মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করেছিল। প্রথমে আসানসোলে ও পরে তাঁকে পাঠানো হয় দিল্লি তিহাড় জেলে। আদালতে এক লক্ষ পাতার চার্জশিট জমা দেয় সিবিআই। তারপরেও ‘বীরভূমের বাঘ’কে খাঁচায় ভরে রাখতে ব্যর্থ কেন্দ্রীয় এজেন্সি। কয়েকদিন আগেই তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলও জামিন পেয়ে গিয়েছেন। জেল থেকে মুক্ত হওয়ার পর তিনি এখন দিল্লিতেই আছেন। সম্ভবত বাবাকে নিয়েই বাংলায় ফিরবেন সুকন্যা।
অনুব্রতর জামিনের খবরে বদলে গিয়েছে তৃণমূল নেতাদের শারীরী ভাষা। সকলেই কেষ্টর ফেরার অপেক্ষা করছেন। সিউড়ির বিধায়ক তথা জেলা কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, এখনই আলাদাভাবে আনন্দ প্রকাশ করছি না। কেষ্ট আগে সাবধানে ফিরুক। তারপর দিদি যা বলেছিলেন, সেইভাবে বীরের সম্মান দিয়েই তাকে আনা হবে। কেষ্ট ফিরে এসে ফের স্বমহিমায় বসবেন বলেই আশা রাখি। এই খবর দুর্গাপুজোর আগে আরএক উৎসব। মায়ের আসার কিছুদিন আগেই আমরা আনন্দে মেতে উঠব।
তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে বেশিদিন আটকে রাখা যায় না। আদালতে সেটাই প্রমাণ হল। কর্মীদের আনন্দ হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে এই মুহূর্তে জেলার বন্যা পরিস্থিতির দিকেই আমাদের নজর সবথেকে বেশি। কেষ্ট ও তার মেয়ে সুকন্যা একসঙ্গে কবে বোলপুরে ফিরবে, সেই অপেক্ষায় রয়েছি।
তৃণমূল সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে দিল্লি পাঠানোর পর সবথেকে বেশি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে ছিলেন জেলা পরিষদের প্রাক্তন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কেরিম খান ও আরএক প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ প্রদীপ ভকত। শুক্রবারও তাঁরা দিল্লিতে উপস্থিত ছিলেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। তবে এনিয়ে তাঁরা বলেন, এর থেকে জেলার তৃণমূল কর্মীদের জন্য ভালো খবর আর কিই বা হতে পারে?
এনিয়ে বিজেপি নেতাদের ফোন করা হলেও তাঁরা ফোন তোলেননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি নেতা বলেন, এখন সবে নিম্ন আদালতে জামিন মিলেছে। শুনেছি, এনআইএর ডিটোনেটর উদ্ধারের একটি মামলা অপেক্ষা করে আছে। (ছবি: সুমন মুখোপাধ্যায় ও ইন্দ্রজিৎ রায়।)