ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাহাড়ীগোড়া এলাকায় একটি বিশাল পাহাড় রয়েছে। চোরাকারবারিরা এক সময় ডিনামাইট ফাটিয়ে পাথর ভেঙে তা পাচার করত। এক শ্রেণির আধিকারিকদের মদতেই এমনটা হতো বলে অভিযোগ। বর্তমানে ‘পাহাড় ও পরিবেশ বাঁচাও’ কমিটি পাহাড় বাঁচাতে আন্দোলন শুরু করে। এতে চোরাকারবারিরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। বর্তমানে পাহাড়ের পাথরকাটা বন্ধ রয়েছে। সম্প্রতি ওই পাহাড়ে ধস নামতে শুরু করেছে। ধসের কারণে এলাকায় থাকা দোকানপাট, ঘরবাড়িগুলি নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এদিন পাড়ার বিডিও নীলাঞ্জন সিনহা, পাড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীপক কুম্ভকার, দেউলি গ্রাম পঞ্চায়েতের অশ্বিনী মাহাত প্রমুখ সেখানে যান। মাইকিং করে বাসিন্দাদের সচেতন করে জানানো হয়, আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। আপাতত পাহাড় সংলগ্ন এলাকায় না যাওয়া ও পাহাড়ে না ওঠার জন্য বলা হয়েছে। বিডিও বলেন, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির ফলেই পাহাড়ে ধস নেমেছে। ইতিমধ্যেই সাঁওতালডিহি থানা ও দেউলি গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে এলাকাবাসীকে পাহাড়ে না ওঠা ও পাহাড়ের সামনে না যাওয়ার জন্য মাইকিং করে সতর্ক করা হয়েছে। পাহাড়ের পাশে একটি সতর্কমূলক বোর্ড লাগানো হবে। পাহাড়ে ওঠার রাস্তাগুলি বন্ধ করে দেওয়ার জন্য গ্রাম পঞ্চায়েতকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাহাড় ও পরিবেশ বাঁচাও কমিটির সম্পাদক পদ্মলোচন মাহাত বলেন, আমাদের এলাকায় ঐতিহ্য পাহাড়ীগোড়ার পাহাড়কে আমরা রক্ষা করবই। আপাতত পাহাড়কে সুন্দর করে তুলতে পাহাড় সংলগ্ন এলাকায় ৫০০-র বেশি গাছ লাগানো হয়েছে। আগামী দিন যাতে পাহাড়ী এলাকাটিকে পর্যটন আওতায় আনা যায় তার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানানো হয়েছে।