আয় বৃদ্ধি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। কর্মস্থলে সাফল্য ও প্রশংসা লাভের সম্ভাবনা। শরীর-স্বাস্থ্য বুঝে চলুন। ... বিশদ
তমলুক থানার আইসি সুভাষচন্দ্র ঘোষ বলেন, সাতজনের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তমলুকের বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্র বলেন, পুলিসি তদন্তে দোষী হলে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হোক। জোর করে জমি নেওয়ার মতো কোনও ঘটনা ঘটলে দল তা বরদাস্ত করবে না।
অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা তারকনাথ জানা বলেন, আমি জমি কেনার জন্য দফায় দফায় টাকা দিয়েছি। ২০২০সালে একবার টাকা দিয়েছি। তারপর আবারও টাকা দিয়েছি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।
আত্মরঞ্জনবাবু নন্দকুমার থানার দক্ষিণ নারকেলদা গ্রামের বাসিন্দা। শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকে ঘোড়াঠাকুরিয়া মৌজায় তাঁর সাড়ে ২৬শতক জমি ছিল। আগেই ১০শতক জমি বিক্রি করে দিয়েছিলেন। অবশিষ্ট জমি বিক্রি করার জন্য কথাবার্তা চলছিল। অভিযোগ, জমির খদ্দের পাওয়া গিয়েছে বলে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার শাগরেদ অনুপ সামন্ত আত্মরঞ্জনবাবুকে ১৯আগস্ট এলাকায় ডেকে পাঠিয়েছিলেন। বন্ধু অরুণ মান্নাকে নিয়ে ওইদিন মিলননগর এলাকায় যান আত্মরঞ্জনবাবু। বেলা গড়িয়ে যাওয়ার পরও খদ্দের না আসায় দু’জন সেখান থেকে চলে যাচ্ছিলেন। সেইসময় তাঁদের দু’জনকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। একটি কালো কাচের গাড়িতে তুলে ৪১নম্বর জাতীয় সড়কে একটি ধাবায় নিয়ে যাওয়া হয়। কেড়ে নেওয়া হয় তাঁদের মোবাইল। সেখানে আটকে রেখে দু’দিন ধরে অত্যাচার চলে।
আত্মরঞ্জনবাবুর আরও অভিযোগ, গলায় ভোজালি ঠেকিয়ে জমি রেজিস্ট্রি করার জন্য চাপ দেওয়া হয়। রেজিস্ট্রি না করলে খুন করে রূপনারায়ণ নদে দেহ ভাসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা ও তাঁর শাগরেদদের হাতেপায়ে ধরেও তিনি রেহাই পাননি। ২০তারিখে দলিল লেখক ডেকে এনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করে নেওয়া হয়। পরদিন গলায় ভোজালি ঠেকিয়ে ধাবা থেকে গাড়িতে তুলে তমলুকে সাব রেজিস্ট্রি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই ওই তৃণমূল নেতার স্ত্রীর নামে গোটা জমিই রেজিস্ট্রি করে দিতে বাধ্য করা হয়। তারপরই আত্মরঞ্জনবাবুকে মোবাইল হাতে দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
আত্মরঞ্জনবাবু বলেন, ২১আগস্ট রেজিস্ট্রি মিটে যাওয়ার পর আমাকে ছাড়া হয়। আমি জানুবসান গ্রামীণ হাসপাতালে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করাই। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা তারকনাথ ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করার জন্য বারবার তমলুক থানায় যাই। কিন্তু পুলিস ফিরিয়ে দেয়। শেষমেশ পুলিস সুপারের দ্বারস্থ হওয়ার পর আমার অভিযোগ নেওয়া হয়। আমি এই ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত চাই। ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।
ভোজালি ঠেকিয়ে জমি রেজিস্ট্রির ঘটনায় এসপি অফিসে প্রতারিত জমির মালিক। -নিজস্ব চিত্র