হস্তশিল্পীরা বিশেষ স্বীকৃতি ও সুনাম পেতে পারেন। পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। ব্যয় কিঞ্চিৎ বাড়তে পারে। ... বিশদ
এদিন, নবান্ন সভাঘরে ওই ভার্চুয়ালি প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাতে যোগ দেন পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক পোন্নমবলম এস, আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায়। এডিডিএ’র চেয়ারম্যান কবি দত্ত । দুর্গাপুর পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান অনিন্দতা মুখোপাধ্যায় সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। বৈঠকে আসানসোল ও দুর্গাপুরের চরম অব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, ‘পুকুর বুঝিয়ে আরএসএসের তিনতলা বাড়ি হয়েছে। পুলিসকে বার বার অভিযোগ করা সত্ত্বেও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি’। দুর্গাপুর পুরসভার পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলী নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘ছ’জনই অপদার্থ।’ যদিও পরে বলেন, ‘একজন ছাড়া।’ আসানসোল-দুর্গপুরে রাস্তা সঙ্কীর্ণ হয়ে যাওয়া নিয়েও তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী।
আসানসোলজুড়ে পুকুর, জলাশয় ভরাট করে প্রমোটিং করার অভিযোগ বারবার উঠেছে। সেই তালিকায় এবার ঢুকে পড়ল আরএসএসের ওই প্রাসাদোপম বাড়ি ‘সুদর্শন নিবাস’ও। জানা গিয়েছে, পশ্চিম বর্ধমান সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশে সংঘের প্রচার-কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ হয়ে থাকে এই বাড়িটি থেকে। সরসংঘ চালকের প্রধান মোহন ভাগবত বাংলা সফরে এলে এখানেই থাকেন। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী সেটিকে এবার বেআইনি নির্মাণের অন্তর্ভুক্ত করায় গোটা ঘটনাক্রমটি অন্যমাত্রা পেয়ে যায়। রাখঢাক না করেই পুলিসকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বারবার অভিযোগ করা সত্ত্বেও তোমরা কিছু করোনি। কারণ, বাড়িটা আরএসএসের। তুমি যদি তৃণমূলের বাড়ি ভাঙতে পার, তাহলে আরএসএসের বাড়ি কেন ভাঙবে না। ওই জমির রেকর্ড সম্পর্কে খোঁজ নাও। কী করে পুকুর ভরাট হল দেখো।’
মুখ্যমন্ত্রীর এই ধমকের ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই ‘সুদর্শন নিবাস’-এ হাজির হন পুরসভার অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার, বিএলআরও, অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিস কমিশনার (স্পেশাল ব্রাঞ্চ) সুব্রত দেবনাথ প্রমুখ আধিকারিক। তাঁরা সংঘের অফিসে গিয়ে বাড়ির বিল্ডিং প্ল্যান, ডিডি ও দলিল, পরচা, জমির চরিত্র বদল, এডিডিএ’র এনওসি ও হোল্ডিং ট্যাক্সের নথিপত্র দেখতে চান। অফিস থেকে বেরিয়ে এসে সুব্রতবাবু বলেন, ‘ওঁরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আমাদের জমা করবেন বলে জানিয়েছেন।’ আসানসোলে সংঘের এই অফিসে অভিযান চালায় পুর-প্রশাসন। নিজস্ব চিত্র