হস্তশিল্পীরা বিশেষ স্বীকৃতি ও সুনাম পেতে পারেন। পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। ব্যয় কিঞ্চিৎ বাড়তে পারে। ... বিশদ
নেশার বিভিন্ন উপকরণ বিক্রির রমরমা সবথেকে বেশি বোলপুর পুরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের ভুবনডাঙায়। সংশ্লিষ্ট পাড়ার প্রভাত সরণি ও ডাকবাংলো মাঠ লাগোয়া বিভিন্ন গলি ও লালচাঁদপট্টিতে রমরমিয়ে চলছে নেশার সামগ্রী বিক্রি। এছাড়া ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আমতলা ও মুসলিম পাড়ায় বেশ কিছু বাড়িতে চলছে অবাধে ‘পাতা’ বিক্রি। এছাড়া বোলপুরের শুঁড়িপাড়া, লায়েকবাজার, মহিদাপুর, লোহাগড়, শান্তিনিকেতন থানার রতনপল্লি প্রভৃতি জায়গায় এই ধরনের শুকনো নেশার সামগ্রী বিক্রির প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। এমনকী, বেশি লাভের আশায় বোলপুরের বেশ কিছু ওষুধের দোকানও অবৈধভাবে বিক্রি করছে এন ১০ ট্যাবলেট, কোরেক্স সিরাপ, ফোরটিন নামের ইনজেকশন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নেশাসক্ত এক যুবক বলেন এই ইনজেকশনটির বাজার মূল্য মাত্র চার টাকা। কিন্তু নেশা সামগ্রী হিসাবে দোকানদার ৩০ থেকে ৪০ টাকায় আমাদের বিক্রি করে। বেশ কিছু বাড়িতে একশো টাকায় ‘পাতা’ বিক্রি হয় পুরিয়া হিসাবে। সেই সামগ্রী নাকে টানলেই যেন স্বর্গসুখ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেশার কারবারি বলে, এই নেশার সামগ্রী মূলত ইলামবাজার ও জয়দেব মোড় থেকে আমদানি করা হয়। যুব সমাজকে এই নেশায় আচ্ছন্ন করতে প্রথমে বিনামূল্যেই দেওয়া হয়। খেল শুরু তারপর থেকেই। সেই নেশা না পেলে পাগল পাগল অবস্থা হওয়ার জোগাড় হয় সেবনকারীর। তাই টাকা জোগাড়ের জন্য চুরি-ছিনতাইয়ের মতো দুষ্কর্মেও জড়িয়ে পড়ছে বর্তমান যুবসমাজের একাংশ। শান্তিনিকেতন থানার এক আধিকারিক বলেন, এ যাবৎ যে সমস্ত ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার হয়েছে, তাদের অধিকাংশই মাদকাসক্ত। এমনকী, অপরাধ জগতের সঙ্গে এদের কোনও যোগ নেই। অনেকেই ভদ্রবাড়ির সন্তান। বাড়িতে টাকা না পেয়ে নেশা করতে চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে। এই মর্মে পাড়ায় পাড়ায় মাদকের বিরুদ্ধে জোর প্রচার শুরু হয়েছে। শীঘ্রই মাদক কারবারীদের চিহ্নিত করে ধরপাকড় শুরু হবে।