মাতুলের থেকে বিত্তলাভ হতে পারে। কোনও বিষয়ের মানসিক উদ্বেগ কমবে। বিদ্যাচর্চায় বিশেষ শুভ। ... বিশদ
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেই দক্ষিণ নদীয়ায় জেলা তৃণমূলের অন্দরে সাংগঠনিক দুর্বলতার ছবিটা ধরা পড়ে। এরপরেই রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যানের পদ থেকে প্রমথরঞ্জন বসুকে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল শিপ্রা দাসকে। কিন্তু, এবারের লোকসভা নির্বাচনে ফের পরাজয়ের পর এই একই সাংগঠনিক পদে রদবদল হল। শিপ্রা দাসের জায়গায় নতুন দায়িত্ব পেলেন শঙ্করবাবু। তিন তিনবারের কংগ্রেস বিধায়ক হিসেবে দায়িত্ব সামলে ২০১৭ সাল নাগাদ তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। সাংগঠনিকভাবে দক্ষিণ নদীয়ায় বেশ কিছুদিন জেলা সভাপতির দায়িত্ব সামলান। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম কেন্দ্র থেকে বিজেপির জেলা সভাপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের কাছে পরাজিত হন শঙ্করবাবু। কিন্তু, চাকদহ থেকে রানাঘাট পর্যন্ত সকল স্তরের তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে এখনও তাঁর ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে বলে মনে করছে তৃণমূল। উপ নির্বাচনে তাঁর অভিজ্ঞতাকেই কাজে লাগাতে চাইছে শাসকশিবির। রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, শঙ্করবাবুর মতো অভিজ্ঞ নেতাকে এমন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দায়িত্ব দেওয়া ভীষণ তাৎপর্যের। মুকুটমণির জয়ের ক্ষেত্রে শঙ্করবাবুর অভিজ্ঞতার বাড়তি অ্যাডভান্টেজ আমরা পাব।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে রানাঘাট কেন্দ্রে প্রথমবার বিজেপির হাওয়ায় ছারখার হয় ঘাসফুলের বাগান। এরপর একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নবদ্বীপ বাদে বাকি ছ’টি বিধানসভাই বিজেপির দখলে আসে। এবারের লোকসভা নির্বাচনেও হারের পুনরাবৃত্তি দেখতে হয় তৃণমূলকে। শাসকদলের সাংগঠনিক দুর্বলতার ছবিটা তাতেই স্পষ্ট হয়েছে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এবারের উপনির্বাচনেও রানাঘাট দক্ষিণে ঘাসফুল ফোটানোর লড়াই বেশ কঠিন। সদ্য লোকসভার নিরিখে এই কেন্দ্রে প্রায় ৩৬ হাজার ভোটে পিছিয়ে রয়েছে শাসক শিবির। সেই লিড টপকে গোল করতে হবে তৃণমূল নেতৃত্বকে। যে কারণেই এবার ‘ভাতে বাড়ানোর জন্য পুরনো চালকেই’ সংগঠনের সম্মুখে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। সাংগঠনিক জেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়ার পর শঙ্করবাবু বলেন, দল আমার উপর ভরসা করতে চেয়েছে। উপনির্বাচনের লড়াইয়ে অবশ্যই আমরাই জয়ী হব। এই কঠিন সময় দলের প্রত্যেক নেতৃত্ব ও কর্মীকে সঙ্গে নিয়েই পার করতে হবে।