আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
সম্প্রতি একটি কেন্দ্রীয় রিপোর্টে হাওড়া শহরকে দেশের নোংরাতম শহর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। সোমবারের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী নিজেও হাওড়ার সাফাইকাজ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, হাওড়া শহরের অধিকাংশ জায়গায় নিয়মিত আবর্জনা সাফাই হয় না। বহু জায়গায় এখনও উন্মুক্ত ভ্যাট। অনিয়মিত সাফাইয়ের কারণে সেগুলি উপচে নোংরা রাস্তায় চলে আসে। এসব এখন স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংযুক্ত এলাকার অনেক জায়গায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে আবর্জনা তোলার কাজ নিয়মিত হয় না। তবে শহরের মূল রাস্তার ধারে বা কয়েকটি নির্দিষ্ট এলাকায় অবশ্য নিয়মিত সাফাই হয়। অলিগলি, পাড়া-মহল্লা এবং দূরের ওয়ার্ডগুলিতে কঠিন বর্জ্য নিয়ে মানুষের একগাদা অভিযোগ রয়েছে। এই বিষয়টি এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে এসেছে। পুরসভার একটি সূত্র বলছে, নির্বাচিত বোর্ড না থাকায় ওয়ার্ড ভিত্তিক সমস্যার কথা অনেক সময় পুরসভায় এসে পৌঁছয় না। জঞ্জাল অপসারণ নিয়ে ব্যর্থতার জন্য দায়ী বেসরকারি এজেন্সির উপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা। যা ডুবিয়েছে পুরসভাকে। কারণ হাওড়া শহরের আবর্জনা সাফাইয়ের কাজ এখন পুরোটাই করে বেসরকারি সংস্থাগুলি। একথা মেনে নিয়েছেন হাওড়ার মুখ্য প্রশাসক ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী। তিনি বলেন, আমরা নির্দিষ্ট সময় তাদের টাকা মিটিয়ে দিই। তাও তারা ঠিক করে কাজ করে না। আমরা এবার পুরসভার তরফে নিজেরাই কিছু গাড়ি কিনে সাফাইয়ের কাজ করব। তাহলে এতদিন কেন তা করা হয়নি? এর সদুত্তর অবশ্য মেলেনি। পুর প্রশাসক নিজের হাতে সমস্ত ক্ষমতা ধরে রাখেন বলেও মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন। যদিও এনিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি সুজয়বাবু।
বালিতে পানীয় জলের সমস্যা নিয়েও সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। কেন এই সমস্যা মেটানো যাচ্ছে না, প্রশ্ন করেন তিনি। বালির ৩৫টি ওয়ার্ডের জন্য জলের উৎস বলতে তিনটি। লিলুয়া অঞ্চলে জল সরবরাহ হয় পদ্মপুকুর জল প্রকল্প থেকে। বেলুড় এলাকায় জল সরবরাহ হয় বেলুড়ের ইনটেক জেটি থেকে। বালির বাকি অংশে জল আসে শ্রীরামপুর থেকে। জল সরবরাহের এই কাজ কেএমডিএ’র তত্ত্বাবধানে হয়। অর্থাৎ তিন জায়গা থেকে জল আসার কারণে বিভিন্ন পকেটে বিভিন্ন সমস্যা রয়ে গিয়েছে। এদিকে, বেলুড় ইনটেক জেটি নাব্যতা হারিয়েছে। ভাটার সময় সেখান থেকে প্রয়োজনীয় জল পাওয়া যায় না। অনেক সময় পলির কারণে মোটর খারাপ হয়ে যায়। গোটা বিষয়টি নিয়ে হাওড়ার এসডিও তথা বালির প্রশাসক অমৃতা বর্মন রায় বলেন, কেএমডিএ বালি পুরসভা এলাকায় জল সরবরাহের দায়িত্বে। কোথাও সমস্যা হলে আমরা তার সমাধানের চেষ্টা করি। জল সঙ্কটের সময় আমরা ৩৪টি ট্যাঙ্কে করে বাসিন্দাদের সরবরাহ করে থাকি। এমনকী, পাশের বালি-জগাছা ব্লকেও প্রয়োজনে জল সরবরাহ করা হয়। বালির বিধায়ক রানা চট্টোপাধ্যায় বলেন, আগের তুলনায় বালি শহরের জনসংখ্যা অনেক বেড়েছে। তাই জলের চাহিদা বেড়ে যাওয়াও সমস্যার একটি কারণ। উত্তর হাওড়ার ঘুসুড়িতে পানীয় জলের একটি বড় প্রকল্প তৈরি হচ্ছে। বছর দু’য়েকের মধ্যে সেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। তখন পানীয় জলের সমস্যা পুরোপুরি মিটে যাবে।