কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, প্রভু প্রাণগোপাল তৎকালীন পূর্ববঙ্গের ঢাকা জেলার বুতনি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে নবদ্বীপে এসে তিনি রাধা মদনমোহন মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। এই মন্দিরে প্রভু প্রাণগোপালের সান্নিধ্য পাওয়ার জন্য স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ প্রমুখ প্রতিনিয়ত এই মন্দিরে আসতেন। প্রভু প্রাণগোপাল গোস্বামীর প্রেরণায় স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় বৈষ্ণব দর্শনকে পাঠ্য হিসেবে সংস্কৃত টোল উপাধি পরীক্ষায় যুক্ত করেন। শুধু তাই নয়, তাঁর লেখা সন্দর্ভ গ্রন্থগুলি পাঠ্য হিসেবে বিবেচিত হয়।
স্বাধীনতা সংগ্রামী হিসেবেও প্রভু প্রাণগোপাল গোস্বামীর বিশেষ অবদান ছিল। নিজ শিষ্যদের মাধ্যমে বাংলার দিকে দিকে স্বাধীনতা সংগ্রামের সচেতনতা বৃদ্ধিতে এবং ঢাকা অনুশীলন সমিতির প্রসারে তিনি সবরকমের চেষ্টা করে গিয়েছেন। তাঁর মদনমোহন মন্দির ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আত্মগোপনের সুরক্ষিত নির্ভরযোগ্য স্থান। স্বাধীনতা সংগ্রামী রাসবিহারী বসু ভারত ত্যাগ করার আগে বেশকিছুদিন প্রাণগোপাল প্রতিষ্ঠিত রাধা মদনমোহন মন্দিরে আত্মগোপন করে থাকেন। এছাড়াও বৈষ্ণব পদাবলী কীর্তনের বিশুদ্ধতা রক্ষায় তাঁর বিশেষ প্রচেষ্টা ছিল। কীর্তনের বিশুদ্ধতা রক্ষায় তিনি একটি কীর্তন মহোৎসব প্রচলন করেন। যে কীর্তন মহোৎসব আজ শতবর্ষ অতিক্রম করেছে। এছাড়াও যে গৌরলীলা পালাকীর্তন আজ অগণিত বঙ্গবাসীর আনন্দের উৎস, সেই গৌরলীলা পালা কীর্তনের স্রষ্টা প্রভু প্রাণগোপাল। পাশাপাশি শ্রীমৎভাগবত পাঠকে দর্শন সমৃদ্ধ করে বুদ্ধিজীবী সমাজের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য প্রভু প্রাণগোপালকে বিশেষভাবে স্মরণ করা হয়ে থাকে।
রাধা মদনমোহন জিউ মন্দিরের বর্তমান সেবাইত প্রভু প্রাণগোপালের প্রপৌত্র নিত্যগোপাল গোস্বামী বলেন, শ্রীচৈতন্যদেবের মুখ্য পার্ষদ নিত্যানন্দ বংশের একাদশতম পুরুষ প্রভুপাদ প্রাণগোপাল গোস্বামী। এদিন ভারত সহ পৃথিবীর বহু দেশে তাঁর তিরোভাব তিথি পালন করা হয়।