ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা। ... বিশদ
উল্লেখ্য, রবিবার দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর দুই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে ওন্দার নিকুঞ্জপুরে সভা করেন। মোদির যাতায়াতের জন্য সভাস্থল থেকে কিছুটা দূরে বিশাল এলাকাজুড়ে করা হয় হেলিপ্যাড। সেখানে পরপর তিনটি হেলিকপ্টার নামে। তারমধ্যেই একটিতে ছিলেন মোদি। চাষিদের অভিযোগ, হেলিপ্যাড সংলগ্ন এলাকা কৃষিজমি। সেখানে ধান, তিল, শসা, রাঙা আলু প্রভৃতি ফসল রয়েছে। সভাস্থলে আসা লোকজনের পায়ের চাপে সেইসব জমির ফসলের একাংশ নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। তারজন্য বিজেপি ক্ষতিপূরণের টাকা দেয়নি। এর জেরে চাষিরা ব্যাপক ক্ষুব্ধ। ওইদিন রাতেই তাঁরা ক্ষোভপ্রকাশ করেন। এদিন মোদির সভাস্থলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনসভা করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী সভা শুরুর সময়ই চাষিদের ফসল নষ্ট করা নিয়ে তীব্র তোপ দাগেন।
এদিন সভাস্থল সংলগ্ন কোষ্টিয়া পঞ্চায়েতের নারায়ণগঞ্জে গিয়ে ফসল নষ্টের প্রমাণও মিলেছে। স্থানীয় চাষি সুভাষ মাজি, দয়াময় মাজি, তপন মাজিরা বলেন, আমাদের জমি তিন ফসলি। ধান ছাড়াও তিল, আলু সহ অন্যান্য সব্জির চাষ করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর সভার জন্য হেলিপ্যাড গড়া হয়েছিল। সেখানেই আশেপাশের জমিগুলিতে লোকের পায়ের চাপে ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এরফলে আমরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছি।
এদিন মমতার সভা মঞ্চ থেকে বাঁকুড়া কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী সহ অন্যান্য নেতারাও এই প্রসঙ্গে বিজেপিকে আক্রমণ করেন। এরজন্য তৃণমূল নেতৃত্ব বিজেপিকে কৃষক বিরোধী বলেও কটাক্ষ করেছে।
যদিও পাল্টা বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অমরনাথ শাখা বলেন, চাষিদের অনুমতি নিয়ে সভার আয়োজন করা হয়েছিল। এরজন্য প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়েছে। তবু যদি কেউ ক্ষতিপূরণ না পেয়ে থাকেন, তা মিটিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু মোদির সভায় বিপুল জনসমাগম হওয়ায় তৃণমূল ভয় পেয়েছে। ফলে মিথ্যা অভিযোগ করিয়েছে।