পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
গত লোকসভা ভোটে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মুরারই বিধানসভা থেকে ৬৩ হাজার ভোটে লিড পেয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়। এই বিধানসভায় তাঁর হ্যাটট্রিকের পথ মসৃণ করে। এবার সেখানে সংখ্যালঘু ভোট কেটে জয়ের স্বপ্ন দেখছেন বিরোধী দলের প্রার্থীরা। দু’দিন আগেই এই বিধানসভা এলাকায় দিনভর চুটিয়ে প্রচার সারেন বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস রায়। মঙ্গলবার মুরারই বাজারে সিপিএম ও কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের নিয়ে মহামিছিল করে প্রচার করেন মিল্টন সাহেব। তাঁর সঙ্গে ছিলেন প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ রামচন্দ্র ডোম সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। মিছিলটি ব্লক অফিস লাগোয়া কংগ্রেস কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে মুরারই বাজার পরিক্রমার পর ভাদিশ্বর মোড়ে সিপিএম কার্যালয়ে পথসভার মধ্যে দিয়ে শেষ হয়। সেখানে মাইক হাতে বক্তব্যে জোট প্রার্থী অনুব্রত মণ্ডলের নাম না করে বলেন, পশ্চিমবঙ্গের বুকে সব থেকে বড় গোরু চোর ছিল এই জেলায়। এখন তাঁর সম্বল তিহার জেলখানার কম্বল। আর একজন আছেন, একসঙ্গে ছাত্র পরিষদ করেছি। তিনি নিজেকে সৎ বলতেন। এখন তিনি ইডি-সিবিআইয়ের ভয়ে মাঠে মাঠে দৌড়াচ্ছেন। তিনি হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, এখানে যে ভোট গত লোকসভায় হয়েছে সেই ভোটটুকু আসবে না ওদের। ইডি-সিবিআই প্রত্যেক ক্র্যাশার ব্যবসায়ী ও টোল আদায়কারীদের নজরে রেখেছে। এক লক্ষ টাকা নিয়ে বেরবেন, ইডি আপনাকে নিয়ে চলে যাবে। আপনাকে ছাড়ানোর লোক থাকবে না। তৃণমূল নেতৃত্ব বলে, এখানে তৃণমূলে যাঁরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে কয়েকজন বড় পাথর ব্যবসায়ী রয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে হাজার হাজার লোক আছে। ওই নেতাদের ইডি-সিবিআইয়ের ভয় দেখিয়ে গেলেন মিল্টন। কিন্তু লাভ হবে না। তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব ভট্টাচার্য বলেন, ওরা নিজেদের ঘর আগে সামলাক। ইডি-সিবিআই যখন ওদের নেতা সনিয়া, রাহুল গান্ধীকে ডাকছে, তখন ইডি-সিবিআই খারাপ। আর যখন অন্যায়ভাবে তৃণমূলের কারও বাড়ি যাচ্ছে, তখন পুলকিত হচ্ছে। উনি নিজের রাজনৈতিক লাইনটাই ঠিক করে বুঝে উঠতে পারেননি। আসলে বিজেপি ওঁকে সাহস জোগাচ্ছে যে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকাগুলোয় যাও। ইডি-সিবিআইয়ের ভয় দেখিয়ে যতটা ভোট কাটতে পারবে, আমাদের লাভ। তলে তলে বিজেপির পুতুল হয়ে খেলছেন মিল্টন। এতে নিজেরই নাক কাটা যাবে। পরের যাত্রাভঙ্গ হবে না।
এদিকে এদিন প্রচারের মাঝেই বেশকিছু তৃণমূল কর্মী-সমর্থক কংগ্রেসে যোগ দেন বলে দাবি করেন মিল্টন। যদিও তৃণমূল নেতা বিনয় ঘোষ বলেন, তৃণমূলের কেউ অন্য দলে যোগ দিয়েছেন বলে খবর নেই। জোট প্রার্থী যাই বলুন, ভয় দেখান, গতবারের মতোই এই বিধানসভা থেকে ১৮-২০ হাজার ভোট পেয়ে তাঁকে সন্তুষ্ট থাকতে হবে। এবার শতাব্দী রায়কে ৯০ হাজার ভোটে লিড দেব।