বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
প্রসঙ্গত, পুরুলিয়া-২ ব্লকে তৃণমূল কংগ্রেসের দু’টি গোষ্ঠীর লড়াই দীর্ঘদিনের। একসময় তৃণমূলের জেলা সভাপতি শান্তিরাম মাহত ও প্রয়াত তৃণমূল বিধায়ক কেপি সিংদেও এর অনুগামীরা ওই ব্লকে দু’টি আলাদা কার্যালয় থেকে দল পরিচালনার কাজ করতেন। পুরুলিয়া-২ ব্লকের তৃণমূল নেতা দিলীপ মাহাত এবং বর্তমান ব্লক সভাপতি প্রভাস মাহাতর দ্বন্দ্বও দীর্ঘদিনের। যদিও প্রায় তিনবছর আগে কেপি সিংদেওয়ের মৃত্যুর পর দলের দু’টি গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব সেভাবে মাথা চাড়া দেয়নি। সম্প্রতি একাধিক ভোটে পুনরায় দু’টি পক্ষের ভাঙন স্পষ্ট হতে থাকে।
তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার বোঙাবাড়ি এলাকায় জনসংযোগ কার্যালয় নামে নতুন একটি দলীয় কার্যালয়ের সূচনা করেন দলের পুরুলিয়া-২ ব্লকের সভাপতি প্রভাস মাহাত। সেখানে পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সদস্য হলধর মাহাত সহ একাধিক ব্লক নেতৃত্ব যোগ দেন। হলধরবাবু এবিষয়ে বলেন, দলের পুরনো কার্যালয়ে কেউ যেতে চান না। তাই নতুন কার্যালয়ের মাধ্যমে জনসংযোগ করা হবে।
এবিষয়ে প্রভাসবাবু বলেন, ব্লকে সংগঠনের সমস্যা দীর্ঘদিনের। একাধিকবার দ্বন্দ্ব মিটিয়ে এক হয়ে কাজ করার চেষ্টা করেছি। দিলীপবাবুর বাড়িতে থাকা দলীয় কার্যালয় থেকেই কাজ করতাম। কিন্তু, পঞ্চায়েত ভোটে দিলীপবাবু এবং তাঁর এক আত্মীয় টিকিট না পাওয়ার পর থেকেই ওই কার্যালয়ে একাধিকবার আমাদের নেতৃত্বকে অপমান করা হয়। তাছাড়া দলের একাংশ গত লোকসভা ভোটের যে এলাকাতেই প্রচারে গিয়েছে সেখানেই দল হেরেছে। ওদের ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি দলের ক্ষতি করছে। তাই দলকে বাঁচাতেই নতুনভাবে কাজ শুরু করেছি। তবে এটা ব্লক কার্যালয় নয়। শুধুমাত্র জনসংযোগের জন্য এই অফিস খোলা হয়েছে। গত বিধানসভা ভোটে যারা দলবিরোধী কাজ করে তৃণমূল প্রার্থী দিব্যজ্যোভতি প্রসাদ সিংদেওকে হারাল তাদের ডাকা মিটিংয়েই দিব্যজ্যোরতিবাবুর উপস্থিত থাকার বিষয়টি যথেষ্ট আশ্চর্যের।
এবিষয়ে তৃণমূল নেতা দিলীপ মাহাতর সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় কমিউনিটি হলে শনিবার ফের দিদিকে বলো কর্মসূচি পালন হয়। সেখানে দিব্যজ্যোতিবাবু সহ ব্লকের একাধিক নেতা, প্রাক্তন ব্লক সভাপতি উপস্থিত ছিলেন। এবিষয়ে দিব্যজ্যোতিবাবু বলেন, কমিউনিটি হলের দলীয় কর্মসূচি পালন কোনওমতেই পাল্টা কর্মসূচি নয়। কারণ ১০দিন আগেই এই কর্মসূচি ঠিক হয়েছিল। তা প্রভাসবাবুরা জানতে পারার পরেই আচমকা শুক্রবার নতুন কার্যালয় খুলে কর্মসূচি পালন করেন। গত বিধানসভা ভোটে যে নেতারা ভুল করেছিল তারা তো নিজেদের ভুল স্বীকার করে নিয়েছে। তাছাড়া বর্তমান ব্লক সভাপতির আমলে দীর্ঘদিন ধরে তো পুরুলিয়া-২ ব্লকে দলের কোনও কর্মসূচি পালন হয় না। ব্লকে দলটাকে বাঁচাতে এবং সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য মাঠে নেমে তো কাজ করতেই হবে। দলকে বাঁচাতে সংগঠনের মাধ্যমে কর্মসূচি পালনকে কী গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলা যায়? তাছাড়া দিদিকে বলো কর্মসূচির মাধ্যমে দিদিকে অনুরোধ করতে চাই, পুরুলিয়া-২ ব্লকে সংগঠনের বিষয়ে একটু নজর দেওয়ার ব্যবস্থা করুন।